পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর ভোগ দখলকৃত চরের জমি জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় করিমুল ও তার স্ত্রী জিন্নাতুন আহত হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি সকালে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদী সংলগ্ন বোড বাজার এলাকায় ভোগদখলীয় চরের খাস জমিতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এব্যপারে আহত করিমুল বাদী
হয়ে ওই দিনই পঞ্চগড় সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, খইপাড়া এলাকার মৃত নজিব উদ্দীনের ছেলে করিমুর ইসলাম (৬৫), করিমুলের স্ত্রী জিন্নাতুন (৫৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে আখিমুল (৫০), রহিমুল (৪০) ও আখিমুলের ছেলে মানিক, হাইয়ুল। তারা এলাকার ভুমি দস্যু গায়ের জোরে অনৈতিক ভাবে টাকার দাবীতে আমার ভোগদখলীয় চাওয়াই নদীর চরের জমি দখল করার জন্য আসে। প্রত্যেক আসামীরা হাতে লাঠি, লোহার রড,ছোড়া নিয়ে আসে। তারা বেদখলের হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি এবং আমার স্ত্রী বাধা দিলে আখিমুল হুকুমে অন্যরাও আমাদের দুজনকে মারপিট করে। এসময় আমার ছেলে আসলে তাকেও মারপিট করে ফেলে রাখে। তখন আমাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আসতে দেখে তারা পালিয়ে যায়।
এলাকার লোক এসে আমাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
আমি একজন ভুমিহীন আমার কোন জায়গা জমি নেই। আমি, আমার স্ত্রী, ছেলে মেয়ে নিয়ে চাওয়াই নদী চরের খাস জমি দীর্ঘ ২০/২২বছর ধরে আবাদ করে আসতেছি। কেউ কোনদিন আমাকে বাধা দেন নাই। আজ ওই ভুমি দস্যুরা আমাকে চাওয়াই নদীর খাস চরের জমি বেদখল দিলে আমি আমার পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। আমি ভুমিহীন হিসেবে প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করতেছি।
স্থানীয়রা জানায়, করিমুলের ভিটা মাটি ছাড়া তার কোন জায়গা জমি নাই। চাওয়াই নদীর চরের খাস জমি দীর্ঘ ২০/২২ বছর ধরে যা আবাদ হয় সে দিয়ে তিনি কোন রকমে দিনাতি পাত করে।
এদিকে আসামী আখিমুল গংরা জানায় আমরা চাওয়াই নদীর চরের পূর্ব পাশে আমরা আবাদ করি তারা নদীর পশ্চিম পারে চরের আবাদ করে এট সত্য, তবে বালি কাটা নিয়ে তাদের সাথে ঝগড়া হয়েছে তেমন কিছু না।
এবিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ভবেস চন্দ্র পাল জানান, বাদী করিমুল চরের জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দাখিল করায় আমি অমরখানা ইউনিয়নে বোড বাজার এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেহেতু ওই জমি খাস উভয় পক্ষকে থানায় আসার কথা বলেছি।
২৮/০১/২০২২