

বিপ্লব পাল: সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক চোরাচালানের ট্রনজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।এখানকার হাটবাজারসহ সর্বত্র মাদকে সয়লাব। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে ভারতের মেঘালয়া রাজ্যের পাহাড়ি সীমান্ত। ফলে কোম্পানীগঞ্জে মাদক ব্যবসা ও মাদকসেবন ছড়িয়ে পড়ছে মহামারীর মতো। এমন অবস্থা যে এখানে হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক। সীমান্তের ওপার থেকে বিভিন্ন মাদক দ্রব্য নামছে পাহাড়ি ঢলের মতো। আর এসব মাদক বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাটে ও স্পটে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের বরমসিদ্ধিপুর ও মাজর গ্রামের কতিপয় যুবকই মূলত নিয়ন্ত্রণ করছে এ মাদক ব্যবসা ।পরে তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে তা বিক্রয় হয়। সূত্র জানায়, সীমান্তের কাছে থাকায় সহজেই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ঢুকে পড়ে ভারতীয় মদ, ফেনসিডিলসহ নানাধরনের মাদকদ্রব্য। কোম্পানীগঞ্জ থেকে এসব মাদকদ্রব্য শহর ও গ্রাম এলাকায় বিক্রি এবং সেবন করছে একটি সিন্ডিকেট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝে-মধ্যে মাদকদ্রব্যসহ ব্যবসায়ী আটক হলেও থামছে না মাদকের হাট ও চোরাচালান। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, রাতের আধাঁরে ভারত থেকে বড়পুঞ্জি বাজারের রাস্তা হয়ে আনা হয় মাদকের বড় বড় চালান। এই মাদক প্রতিদিন রাতে ধুপড়িপাড় নদী দিয়ে নৌকাযোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে যায়। এসব বড় ধরনের চালান কখনো আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করতে না পারলেও মাঝে-মধ্যে ছোট ছোট চালান আটক করে থাকে। উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের বৃহত্তর পাড়ুয়া এলাকা, টুকেরবাজার (চকবাজার) বউ বাজার, ভোলাগঞ্জ দয়ারবাজার, লিলাই বাজার। উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের বতুমারা নোয়াগাও, তুরং ও সীমান্তের বড়পুঞ্জি বাজার, দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের সুন্দাউরা, দরাকুল, হায়দরি বাজার, খাগাইল বাজার মাদক বিক্রয় ও সেবনের স্পট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। সূত্রমতে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে মাদক বিক্রয় ও পাচারে সাথে যারা জড়িত, তারা হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া লামাপাড়ার মৃত আরজ আলীর পুত্র রহমত আলী, একই গ্রামের মৃত আলী আমজদের পুত্র দুলাল মিয়া ওরফে রোগী দুলাল, উপজেলার লামাপাড়ার আব্দুল মান্নানের পুত্র রফিক মিয়া ও শানুর মিয়া, লামাপাড়ার উজা’র পুত্র কাওসার, লামাপাড়ার আজিম ও আজিমের স্ত্রী কুলছুমা, উপজেলার কালাসাধক গ্রামের মৃত ফজর আলীর পুত্র আমির উদ্দিন, উজানী পাড়ার মৃত হইব আলীর পুত্র মনজু মিয়াসহ আরো অনেক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মাদকের হিংস্র থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ছে পূরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। এ ব্যপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করছেন উপজেলার শান্তি প্রিয় সচেতন নাগরিকবৃন্দ।