জাহাঙ্গীর খাঁন সিনিয়র রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুুর উপজেলার ৭নং হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর বটতলা থেকে মোসলেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা ভোগান্তি চরমে। ৭নং হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের চামনাই নারায়ণপুর গাইনপাড়া, কল্যাণপুর গ্রামের প্রধান রাস্তাটি মাটির হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় গ্রামের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে একাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে রাস্তাটি, অনেক জায়গায় রাস্তার দুই ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙে পড়ছে। ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে কাদা পানি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। র্দীঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখন পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করছে ইউনিয়নের বিভিন্ন বড় রাস্তাসহ অনেক ছোটখাটো রাস্তা পাকা করণ করলেও এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করণ করা হচ্ছে না। ঐ এলাকার মানুষ জানান, কল্যাণপুর বটতলা থেকে মসলেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পযর্ন্ত এই রাস্তা এতটাই খারাপ যে ভ্যান গাড়ি সহ ছোট বড় একটা গাড়িও ঢুকতে সাহস পায় না, আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই গাড়িতো দূরের কথা পায়ে হেটেও যাওয়া যায় না। এছাড়াও ও এলাকাবাসী আরও বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে গাড়িতে নয় নিতে হয় বাঁশের মাচা বানিয়ে চারজন কাধে নিয়ে। নারায়ণপুর গ্রামের মঈনুদ্দিন বলেন, কল্যাণপুর বটতলা থেকে মসলেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পযন্ত ২ কি. মি. রাস্তাটি র্দীঘদিনেও জনসাধারণের চলাচলের জন্য পাকা করণ করা হয়নি। আমাদের এলাকার রাস্তাটি পাকা করণ করা হলে আমাদের কষ্ট দূর হবে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর র্দীঘদিনের দাবি বলে তারা জানান।।