চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইয়ামিন হোসেন নামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগানে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে এবং স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ীতে থাকত ইয়ামিন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাহিদ পলাতক রয়েছেন। জাহিদ হাসান (১৬) কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন বাড়ীর পাশে খেলা করছিলো। এ সময় আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ঠ থাকা টাকা ইয়ামিন খরচ করে ফেলে। জাহিদ বাকী টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় বাড়ীর পাশের আম বাগানে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। ঘটনাটি ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন দেখে দ্রুত বাড়ীতে খবর দিলে বাড়ীর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাগানে ইয়ামিনের জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু ইয়ামিনের মরদেহ উদ্ধার করে। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। শিশু ইয়ামিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, হত্যার সাথে জাড়িত জাহিদকে আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, শিশু ইয়ামিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।