তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি। তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর নাব্যতা ফেরাতে সুলেমানপুর এলাকায় খননকাজ শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে খনন শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও নৌযান মালিক-শ্রমিকরা। এদিকে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নদীর নাব্য ফিরে না আসা পর্যন্ত ১০০ টনের অধিক ধারণ ক্ষমতার কোনো নৌকা নদীর এ অংশে প্রবেশ করবে না। যেসব বড় নৌকা এর পূর্বেই নদীতে প্রবেশ করেছিল, সেগুলোকে সর্বোচ্চ ১০০ টন মালামাল নিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। একটি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দল দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে নৌকাগুলোর চ্যানেল অতিক্রম করার ব্যবস্থা করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোলাইমানপুর বাজার এলাকা দিয়ে পাটলাই নদীপথে প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানি করা কয়লা ও পাথরবোঝাই আট শতাধিক নৌযান চলাচল করে। কিন্তু প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদীটির সুলেমানপুর থেকে বাঁশচাতল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ নৌজটে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। কয়লা ও চুনাপাথর আমদানিকারক মাসুক মিয়া বলেন, মেঘালয়ের কয়লা ও চুনাপাথর ভালো মানের। তাই ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও সময়মতো মালামাল ডেলিভারি দিতে না পারায় আমাদের অর্ডার অনেক সময় বাতিল করে দেয় ক্রেতারা। এ ছাড়া ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল এ সময়টায় আমাদের ব্যবসা জমে ওঠে। আর তখনই নৌজটে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হই। দুর্ভোগে পড়ে নৌযান শ্রমিকরা। এ খননে ও প্রশাসনের নির্দেশনা ব্যবসার গতি বাড়বে, তেমনি দুর্ভোগও কমবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির জানান, নৌজট নিরসনের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে নদীর এ অংশে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। রোটেশনের মাধ্যমে নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা ও সহনশীলতা কামনা করছি। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বলেন, আমি ওই এলাকা পরির্দশন করেছি। এ মুহূর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সুলেমানপুর এলাকায় পাটলাই নদীর নৌজট এলাকায় খনন করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আরও খনন করা হবে। সবাইকেই সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে খনন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নৌযানে চলাচল করতে হবে।