মোঃ আব্দুল আজিম, দিনাজপুর: দিনাজপুরে আলু পরোটা বিক্রি করে ভাগ্য ঘুরেছে রাজ্জাকের। সু-স্বাদু এই পরোটা খেতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন হরেক রকম মানুষ। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে মুখরচক বা রসনা বিলাস খাবার খেতে সকলেই ভালবাসে। তাই মুখরোচক এই আলু পরোটা নিয়ে হোটেল খুলে বসেছেন বিরামপুরের রাজ্জাক। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিরামপুর রেলস্টেশন চত্ত্বরে রাজ্জাকের আলু পরোটা দোকান ধুমচে চলছে এই আলুপরোটার সাথে কয়েক প্রকার ভর্তা দিয়ে আলু পরোটা খেতে বেশ মজাই লাগে। এব্যাপারে বিরামপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ অাক্কাস আলী জনান, বিরামপুরের এই সুস্বাদু পরোটার দোকানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মুখরোচক পরোটা খেতে ছুটে আসছেন রসিক মানুষরা। এতো অল্প সময়ের মধ্যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এতোটা সুনাম অর্জন করতে পারে এটি তার অনেক পরিশ্রমের ফল বলে আমি মনে করি। তার এই অালু পরোটার ব্যবসা অারো প্রশারিত হোক এই কামনায় করি। কথা হয় অালু পরোটা বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি বলেন, আগে অন্যের হোটেলে কাজ করতাম যা বেতন পেতাম তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হতো, বোঝে উঠতে পারছিলাম না কী করবো? হাতে পয়সা কড়ি নেই, সংসারে অনেক চাহিদা শেষমেষ বিরামপুর রেলস্টেশনে আলু পরোটার ব্যবসা শুরু করি। দিন দিন গ্রাহকের চাহিদা বাড়তে থাকায় আমাকেও ব্যবসার পরিধি বাড়াতে হয়। ৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। আলু পরোটার জন্য ভালমানের ময়দা, আলু, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, তিল, বাদাম, শরিষা, শুটকীমাছ, তেল ও শুকনো খড়ি প্রতিদিন কিনতে হয়। বাড়িতে সবগুলো উপকরণ পর্যায়ক্রমে আলু পরোটার জন্য ময়দার খামির প্রস্তুত করে বিভিন্ন রকম ভর্তা যেমন আলূ ভর্তা, কাঁচা মরিচ ভর্তা, বাদামভর্তা, তিল ও শুটকি মাছের ভর্তা নিয়ে বিকেল ৪ টায় বিরামপুর ষ্টেশনের দক্ষিণপাশে মজাদার ও সুস্বাদু আলু পরোটার দোকান বসাই।সন্ধ্যে হলেই শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লা থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থী সহ রেলস্টেশনে আগত রেল যাত্রীগণ এখানে বসেই খেয়ে তার পরিবারের জন্য পার্সেল নিয়ে যান। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০-৪০০ জন আলু পরোটা খেতে আসেন। প্রতিদিন দোকানে সব মিলে খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আর বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। বকুলতলা মোড় থেকে আলু পরাটা খেতে আসা মরিয়ম আক্তার বলেন, সপ্তাহে ২-৩দিনআলু পরাটা খেতে আসি, এখানকার আলু পরাটার স্বাদটাই আলাদা’। টাটকপুর থেকে আলু পরাটা খেতে আসা মিলন ইসলাম বলেন, আমি এখানে প্রায় আলু পরাটা খেতে আসি। এখানকার আলু পরাটা খেতে মজাটাই আলাদা। বিভিন্ন প্রকার ভর্তার স্বাদটাই একেবারে অন্য রকম। আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, এখন আলু পরোটার দোকান থেকে যা আয় করি তা দিয়েবেশ সুন্দর আমার সংসার চলে। এই থেকে ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার খরচ যোগানদিচ্ছি।আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে মানসম্মত ভাবে আলু পরোটা ওবিভিন্ন ভর্তা তৈরি করতে। সে জন্যই হয়তো খাবারের স্বাদে জন্য মানুষজন আলু পরোটা খেতে আসেন।