০৬ টি অস্ত্র ও ০৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ খায়রুল আমিন ডাকাত গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিন গ্রেফতার। টেকনাফের কেরনতলী এলাকায় খায়রুল আমিন ডাকাত গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। রাত হওয়ার সাথে সাথেই উক্ত এলাকার আতঙ্ক সৃষ্টি করে এই ডাকাত গ্রুপ। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ধরতে গত ২-৩ মাস ধরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ জানতে পারে যে, ডাকাত গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন কাস্টমঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদটি র্যাব-১৫ অবগত হওয়া মাত্রই আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ওৎ পেতে থাকে। একপর্যায়ে আনুমানিক ২৩.১৫ ঘটিকায় আভিযানিক দল বর্ণিত স্থান হতে খায়রুল আমিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ০১ টি দেশীয় পিস্তল ও ০২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তি জানায় তার পরিচয়, খায়রুল আমিন (৩৮) (রোহিঙ্গা), পিতা-মৃত মোস্তাফিজ, মাতা-রাবেয়া খাতুন, সাং-কুতুপালং রেজিস্টার ক্যাম্প-০১,ব্লক-এফ, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে আরো জানায়, একদল ডাকাত টেকনাফ থানাধীন কেরনতলীর গভীর অরণ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল ধৃত আসামীকে সাথে নিয়ে টেকনাফের কেরনতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে। ধৃত আসামীর দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে বর্ণিত জায়গায় পৌঁছালে কতিপয় ডাকাত একটি বস্তা ফেলে অন্ধকারের মধ্যে পাহাড়ের ভিতরে পালিয়ে যায়। তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বস্তার ভিতর হতে ০৩ টি একনলা বন্দুক, ০২ টি থ্রি-কোয়ার্টারগান ও ০৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসমূহ নাশকতা এবং ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে মজুদ করছিল মর্মে ধৃত আসামী স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।