এম এ হানিফ রানা, স্টাফ রিপোর্টার করোনাভাইরাসের মহামারী রোধে সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই অতিতের মতো আবারো ২৬ শে ফেব্রুয়ারী সারাদেশব্যপী এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ। সকল জেলার মতো গাজীপুরেও বিভিন্ন স্হানে বুথ করে এই কর্যক্রমের ধারাবাহিকতা চলছে। কিন্তু সকাল থেকে শুর করে এই রিপোর্ট লেখার আগপর্যন্তও অনেকেই টিকা দিতে পারছেন না। ৬-৭ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়েও কেও কেও বিরক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এলোমেলো বিশৃঙ্খলা অবস্থা তৈরি হয়েছে অনেক জায়গাতেই। কোথাও কোথাও টিকা শেষ করে বসে আছেন স্বাস্থ্য কর্মিরা, আবারো টিকা আসার অপেক্ষায়। আবার অনেকেই অভিযোগ করছেন মুখ চিনে চিনে টিকার কাগজ জমা নিচ্ছেন। অসুস্থ মানুষও দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে আবারো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বেশি দীর্ঘ সময় নস্ট হওয়ার জন্য বেশি সমস্যায় পরছেন বৃদ্ধ ও ছোট বাচ্চা রেখে আসা মায়েরা। অনেকে অফিস বন্ধ করেও টিকা নিতে পারছেন না। গাজীপুর সিটির শহীদ স্মৃতি স্কুল মাঠ,মাঝির খোলা, নিয়ামত সড়ক সহ কয়েক জায়গায় পর্যবেক্ষণ কালে একি অভিযোগ করছেন টিকা নিতে আসা লোকজন। আজ সকাল থেকেই টিকা নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে। এই টিকা নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকায় মানুষকে শৃংখল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেচ্ছাসেবীদের। ঘোষনা অনুযায়ী আজ যে কেউ টিকা নিতে চাইলে জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা কোন নিবন্ধন ছাড়াই শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এরপর তাদেরকে একটি টিকা কার্ড প্রদান করা হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এ উপলক্ষ্যে সারা দেশে ২৮ হাজার টিকা বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ১ লাখ ৪২ হাজার জন এ কার্যক্রমে সহায়তা করবেন। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৬ তারিখে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হবে। এর মধ্যেই সকলকে টিকার প্রথম ডোজ নিতে হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনার প্রথম ডোজ টিকার ওপর গুরুত্ব বেশি দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে ২য় ও বুস্টার ডোজ গুরুত্ব পাবে। তিনি আরও জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের ওপর গুরুত্ব কম দেয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এর স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সীমিত পরিসরে। কেননা তখন অনেক মানুষকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের টিকা প্রদান করতে হবে।