এম এ হানিফ রানা, স্টাফ রিপোর্টার পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী দেশব্যাপী এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ। সকল জেলার মতো গাজীপুরেও বিভিন্ন বুথে এই কর্যক্রমের ধারাবাহিকতা চলছে। গাজীপুর সিটির ২৬ নং ওয়ার্ডে ” শহীদ নিয়ামত এডুকেশন হোমে ” সকাল থেকেই টিকা নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে। এই টিকা নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকায় মানুষকে শৃংখল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেচ্ছাসেবীদের। শহীদ নিয়ামত এডুকেশন হোমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী জানান, করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে করোনা টিকা নিতেই হবে। তাই সকাল থেকেই উৎসুক মানুষদের দীর্ঘ লাইন। আমরা নারী পুরুষদের আলাদা আলাদা লাইন করে দিয়েছি এবং যাতে কোন ঝামেলা না হয় সেজন্য সেচ্ছাসেবীদের দ্বায়িত্ব দিয়েছি। সেই সাথে আমরা সর্বাত্মক ভাবে সহযোগিতা করছি যাতে সকলেই এই সেবা নিতে পারেন। ঘোষনা অনুযায়ী আজ যে কেউ টিকা নিতে চাইলে জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা কোন নিবন্ধন ছাড়াই শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এরপর তাদেরকে একটি টিকা কার্ড প্রদান করা হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এ উপলক্ষ্যে সারা দেশে ২৮ হাজার টিকা বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ১ লাখ ৪২ হাজার জন এ কার্যক্রমে সহায়তা করবেন। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৬ তারিখে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হবে। এর মধ্যেই সকলকে টিকার প্রথম ডোজ নিতে হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনার প্রথম ডোজ টিকার ওপর গুরুত্ব বেশি দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে ২য় ও বুস্টার ডোজ গুরুত্ব পাবে। তিনি আরও জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের ওপর গুরুত্ব কম দেয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এর স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সীমিত পরিসরে। কেননা তখন অনেক মানুষকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের টিকা প্রদান করতে হবে।