এ.এইচ রিপন ভোলা দক্ষিন প্রতিনিধি: দেশব্যাপী এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারই অংশ বিশেষ লালমোহন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৩১ টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে কোভিড টিকা প্রদান করা হয়। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা কোন নিবন্ধন ছাড়াই শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরের দেখিয়ে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হয়। তা ছাড়া মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এরপর তাদেরকে একটি টিকা কার্ড প্রদান করা হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৬ তারিখে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হবে। এর মধ্যেই সকলকে টিকার প্রথম ডোজ নিতে হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনার প্রথম ডোজ টিকার ওপর গুরুত্ব বেশি দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে ২য় ও বুস্টার ডোজ গুরুত্ব পাবে। তিনি আরও জানান,২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের ওপর গুরুত্ব কম দেয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এর স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সীমিত পরিসরে। কেননা তখন অনেক মানুষকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের টিকা প্রদান করতে হবে। এসময় টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শনে যায় লালমোহন উপজেলা নিবার্হি কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা। এসময় সার্বিক দিক নিদের্শ প্রদান করেন এবং প্রতিটি ইউপি তদরকি করতে প্রতিনিধি প্রদান করা হয়। এসময় টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়। টিকা গ্রহন করার সময় লালমোহন উপজেলা কালমা ইউনিয়নে টিকা নিতে গিয়ে ২য় তলা ভবনের চানসেট ভেঙ্গে ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে। সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।