ইউক্রেনের আটকা পড়া বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন মনসুরুলের পরিবারে শোকের মাতম মোঃ খলিলুর সাতক্ষীরা:: যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। গতকাল রকেট হামলার কবলে পড়ে জাহাজটির এক নাবিক নিহত হয়েছেন। জীবিত ২৮ জনকে আজ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের একটি বাংকারে। বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ক্যাপ্টেন মনসুরুল আলম খান (৩৬)। তিনি সাতক্ষীরার নারকেলতলা এলাকার সন্তান। বাবা সেলিম খান অবসরপ্রাপ্ত বিআরডিসি কর্মকর্তা। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বাড়িতে কথা বলেছে সে। জানিয়েছেন, ভালো আছেন। সন্ধ্যার দিকে ইউক্রেনের ওয়ালভিয়া বন্দরে তাদের নামানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই আছেন। ছেলের জন্য বাড়ির সবাই খুব চিন্তিত। ওর মা, স্ত্রী সারাদিন কান্নাকাটি করছে। তিন ছেলের জনক ক্যাপ্টেন মনসুরুল আলম খান। শাহিন আলম খান বলেন, ২০০৬ সালে জাহাজের ক্যাপ্টেন পদে চাকরি জীবন শুরু করে । সবশেষ তিন মাস আগে বাড়িতে এসেছিল। ৬-৭ মাস পর পর বাড়িতে আসে। ইউক্রেনে গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আটকা পড়বে, এটি কেউ ধারণা করেনি। জাহাজে রকেট হামলার পর আজ প্রথম কথা হয়েছে। সেখানে খাবারের সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার খাচ্ছে জাহাজে আটকা পড়া বাংলাদেশিরা। নেটওয়ার্ক ও ফোনে চার্জ না থাকায় খুব বেশি যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিপিং অফিস থেকে যোগাযোগ করে বলেছে, আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছি, আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউক্রেনিরা মাইন বসিয়ে রাখায় জাহাজটি বের হতে পারেনি। ক্যাপ্টেনের বড় ছেলে ফারহান বলে, জাহাজে ২৯ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আব্বু বেঁচে আছেন। সেখানে খাবারের কষ্ট হচ্ছে, অল্প খাচ্ছেন। জাহাজে পানি ঢুকে গেছে। বাড়ির সবার মন খারাপ। আব্বুকে ফিরিয়ে আনুন আপনারা। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির বলেন, বিষয়টি শুনেছি জাহাজের ক্যাপ্টেন একজনের বাড়ি সাতক্ষীরায়। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এমন কোনো ম্যাসেজ এখনও আমরা পাইনি।