কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হেলথ এইড ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর সাথে থাকা টাকা,মোবাইল, চেকবই ও স্বর্নালাংকার চুরির ঘটনায় প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রিন্ট মিডিয়া এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এতে লিখিত বক্তব্যে শাহানা বেগম (৩৮) অভিযোগে করে বলেন গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি অসুস্থ্য হয়ে কিশোরগঞ্জ হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।পরে ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৭.১৮ মিঃ ক্লিনিকের দায়িত্বরত নার্স রিয়া (২২) আমাকে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য ডাক দেয় ।তখন আমার জ্যা মিনা আক্তার দরজা খুলে দিয়ে নার্স রিয়াকে দরজায় রেখে ওয়াশ রুমে চলে যায়। তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কিছু সময় পর রিয়া এসে আমাকে ডেকে তুলে বলে, আপনার মোবাইল ও ব্যাগ চুরি হয়ে গেছে। আমি খুঁজে আমার ব্যাগ ও মোবাইল না পেয়ে বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও আমার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার আতাউর রহমানকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। পরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি জি.ডি করি, যাহার নং-১০৭৭ এবং অভিযোগ দায়ের করি। জি.ডি’র প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ মিঠামইন থেকে এস.আই লিটন গত ৩ মার্চ ২০২২ তারিখে আমার মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।আমি খোঁজ নিয়ে ও ক্লিনিকের সি.সি ক্যামেরার ফুটেজে জানতে পারি ক্লিনিকে ঘটনার দিন সকাল ৭.১৫ মিঃ মূল গেইটটি খোলা হয়নি। ফলে ৭.১৮ মিঃ ব্যাগ ও মোবাইল চুরি করতে বাহিরের লোক আসা সম্ভব নয়। উক্ত ঘটনায় নার্স ও দায়িত্বরত লোকজনই জড়িত বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য যে, আমার ব্যাগে নগদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ ও ইসলামী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার একটি চেক বই, যাহার একাউন্ট নং – ১৮১১৮, ইসলামী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার একটি এটিএম কার্ড এবং আমার স্বামীর স্মার্ট কার্ডও ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার আত্নীয়রা বার বার ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি।থানায় অভিযোগ করার পর ০১৭১৮-৫৯১২২৩ নম্বর থেকে আতিক নামে পরিচয় দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার চাপ সৃষ্টি করে । আমি মোবাইল নম্বরটি আমার ইমুতে সেভ করে জানতে পারি নম্বরটি মামুন নামের একজনের উক্ত ঘটনায় আমি নগদ টাকাসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল চুরির সাথে জড়িত নার্স,কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত পৃর্বক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করি।
Enter
MD Lipon Khan – কিশো