বালিয়াডাঙ্গী খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পণ্য
মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বাজারের দোকান বেশ কয়েকটি দোকানে টিসিবির ২ লিটার ওজনের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। তবে সেসব তেল বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজারের সমমান মূল্যে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাটের কয়েকটি দোকানে সরেজমিনে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা টিসিবির বেশ কিছু বসুন্ধরা বোতলজাত সয়াবিন তেল। স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে একজন ক্রেতা সেজে তেল কিনতে চাইলে, তেলের বোতল দেওয়ার আগেই ২ লিটার তেলের মূল্য চাইলেন ৩৪০ টাকা। সেই বোতল হাতে নেওয়ার পর বোতলের একপাশে স্টিকার ছেঁড়া পাওয়া গেলেও গায়ে কোনো মূল্য লেখা ছিল না। এ সময় আকরাম আলী নামে এক দোকানির বসার স্থানের পেছনে পাওয়া যায় টিসিবির মনোগ্রামসহ আরও এক বাক্স সয়াবিন তেল।
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনের।
বাজারের কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ীর জানিয়েছেন, বাজারের বেশির ভাগ দোকানে এ রকম টিসিবির তেল, ডাল ও চিনি পাওয়া যাবে। সবাই প্রায় খোলামেলা ভাবেই এগুলো বিক্রি করছে। টিভি ও পত্রিকায় এসব বন্ধে অভিযানের খবর শুনলেও বাস্তবে বাজারে এমন অভিযান দেখতে পাননি।
এ বিষয়ে লাহিড়ী বাজার এলাকার টিসিবি ডিলার শিমুল বলেন, ‘দোকানে পাওয়া টিসিবির তেল কোথায় থেকে এসেছে আমার জানা নেই। আমি কোনো দোকানির কাছে কখনোই বিক্রি করিনি। নিয়ম মেনেই টিসিবির মাল বিক্রি করছি। এমনিতেই ক্রেতার অভাব নেই। দোকানের কাছে বিক্রি করার প্রশ্নই আসে না।’
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। টিসিবির কাছ থেকে কেনা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রয়ের প্রমাণ মিললে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
ঠাকুরগাঁও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। দূরের বাজার গুলোতে একটু কম যাওয়া হচ্ছে। তবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
∅