মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও শহরের আট গ্যালারী টাঙন নদীর ব্রিজ এর পাশ থেকে দিনে-দুপুরে অবাধে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন একটি প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কিছুদিন আগে নদী খনন করে যে বালু গুলো নদীর বাধে রাখা ছিল সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহরের টাঙন ব্রিজটি রয়েছে ঝুঁকিতে। অপরদিকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না অভিযোগ এলাকাবাসীর। অন্যদিকে ভূমি কর্মকর্তা বলছেন অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমার জানা নাই আর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বলছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (১৬ মার্চ) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহরের আটগ্যালারী টাঙন নদীর ব্রিজের নিচে প্রায় ২৫টি মাহিন্দ্র গাড়িতে করে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একব্যক্তি তার বাড়ির কাজের জন্য বালু উত্তোলন করছেন। ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে সরকারি দপ্তরগুলো আর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছেন। সরকারি লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন ভূয়া তথ্য দিয়ে দিনের পর দিন বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি। বালু উত্তোলনের সরকারি নিয়ম থাকলেও সেটিকে কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। বরং ইজারা না নিয়েই চলছে এই হরিলুট। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে টাঙন নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসলেও এরা বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি বার বার প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং বালু দস্যুরা বেপরোয়া ভাবে তাদের বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে আসছে। যে কারনে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীর পাড়ের অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গাছপালা, জায়গা জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসুর আলী বলেন, কয়েক মাস ধরেই একটি চক্র নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। যার কারণে নদীর আশ-পাশে সরকারি ভবন গুলোর ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে। এই বালু উত্তোলন বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।