দর্শনা (চুয়াডাঙ্গা)প্রতিনিধিঃ
দেশটা কি তোর বাপের ? তুই কি বড় নেতা হয়ে গেছিস ? নাকি প্রাইম মিনিষ্টার হয়ে গেছিস বলে গালাগালাজ করে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছে সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুলকে।
গতকাল সোমবার দুপুর ৩টার দিকে তার মোবাইল ফোনে এ হুমকি প্রদান করে। তিনি দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের ইলিয়াস শেখের ছেলে ও মাইটিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে।এঘটনায় রাত ৮ টার দিকে দর্শনা থানায় একটি সাধারন ডাইরী করা হয়েছে।
জিডি সূত্রে জানাগেছে, সোমবার দুপুর ৩টার দিকে সাংবাদিক পিপুল তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলো। এসময় ০১৮৭৮-০৫৪৪৮৭ নাম্বার হতে ফোন করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে বলে, আপনার বিকাশে ৪,০০০ টাকা পেয়েছেন। অতঃপর তিনি উক্ত নাম্বারের অজ্ঞাত ব্যক্তির নিকট জানতে চায় যে কিসের টাকা ভাই ? তারপর উপরোক্ত নাম্বারের অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি বলে একজন দিয়েছে আপনি পেয়েছেন কিনা তাই বলেন। তার পরিচয় জানতে চাইলে সে সাংবাদিককে বলে যে. আমি দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন এমপি মোড়ে “মিজান টেলিকম” থেকে বলছি। এরপর নাম্বারের অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি কিছুক্ষন চুপ থাকে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে যে, দেশটা কি তোর বাপের, তুই কি বড় নেতা হয়ে গেছিস, নাকি কি প্রাইম মিনিষ্টার হয়ে গেছিস। এমপি মোড়ে দোকান হয়েও আমাকে গালিগালাজ কারণ জানতে চাইলে পরবর্তীতে আবার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইল ফোনটি কেটে দেয়। পরে যাচাই করে দেখা যায় যে ওই নামের কোন টেলিকম দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন এমপি মোড়ে নেই। প্রকাশিত সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে এ হুমকি প্রদান করেছে বলে ধারনা করেছে সাংবাদিক। এবিষয়ে সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসেক্লাবে নেতৃবৃন্দ দর্শনা থানায় একটি সাধারন ডাইরী করার সিদ্ধান্ত নেন। রাত ৮ টার দিকে এঘটনায় একটি সাধারন ডাইরী করা হয়েছে। যার নাম্বার ১২৮৪। এ সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস,এম ওসমান, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু। দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদ, আহসান হাবিব মামুন, সদস্য সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন।
এদিকে এঘটনায় তিব্র প্রতিবাদ ও আসামি গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবর ও সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান সেলিম সহ প্রেকক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
এবিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ,এইচ,এম লুৎফুল কবির জানান, এবিষয়ে একটি সাধারণ ডাইরি গ্রহন করা হয়েছে। আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।