ঈদগাঁও ও পোকখালী থেকে আটক ৭


মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার। কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলা থেকে গতরাতে (বৃহস্পতিবার ) ৭ আসামিকে আটক করা হয়েছে। ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এদের মধ্যে দুইজন নিয়মিত মামলার এজাহার নামীয় আসামি। বাকি পাঁচজন পরোয়ানা ভুক্ত আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটককৃত আসামিরা হচ্ছে পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামের রমজান আলী ও তার পুত্র খোরশেদ আলম। পরোয়ানাভুক্ত আসামীরা হচ্ছে ঈদগাঁও পশ্চিম ভাদিতলার দুই ভাই জাগির হোছন ও মোঃ কামাল এবং মধ্যম পোকখালীর সহোদর তথা মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, হারুন উর রশিদ ও মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মছিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের যথাযথ পুলিশ প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ২/ ঈদগাঁওতে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন প্রতিনিধি মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার। কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি মনোনয়ন প্রস্তাব করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বরাবর জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বা মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশগণের পক্ষ থেকে চারজনকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। এদের মধ্যে দুইজন জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং বাকি দুইজন শহীদ বা মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশ। প্রস্তাবকৃত জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আমান উল্লাহ (বেসরকারি গেজেট নম্বর ৫৪৬), বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন চৌধুরী (বেসরকারি গেজেট নম্বর ৭), শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান বাবলু। প্রস্তাবনা প্রেরণ সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি ও মুক্তিযোদ্ধাদের খবরা-খবর প্রাপ্তিতে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ ও খবরা-খবর জ্ঞাত করার জন্য এসব প্রতিনিধিদের মনোনীত করা হয়েছে। প্রস্তাব পত্রে উপজেলার ১৪ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৯ জনে স্বাক্ষর করেছেন। অন্যদিকে ১৯ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশগণের মধ্যে সকলেই এতে স্বাক্ষর করেছেন। প্রস্তাব পত্র তৈরি সংক্রান্ত কার্যক্রম তত্ত্বাবধানকারী পশ্চিম ইউসুপেরখীলের জাহাঙ্গীর আলম জানান, আশা করছি দাখিলকৃত প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।