ঠাকুরগাঁও :
ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩০ মার্চ বুধবারে আগাম তরমুজের দাম ক্রেতার সাধ্যের বাইরে বিক্রি হচ্ছে । তাই অনেকে শুধু দাম শুনে চলে যাচ্ছে তরমুজ আর নেওয়া হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে আগাম জাতের তরমুজ । হালকা গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য এ ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। যে কারণে আগাম তরমুজের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার ফল ব্যবসায়ীরা।
ঠাকুরগাঁও জেলার ফল ব্যবসায়ীরা জানান, গরমকালের তরমুজ এখনো বাজারে আসেনি। সেগুলো মিলবে আরও দেড়/দুই মাস পর। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে কুয়াকাটা সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে এই তরমুজ গুলো।
তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালে এলে এর দাম আরও কমবে। ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার তরমুজ ব্যবসায়ী নওশাদ আলী বলেন, কুয়াকাটা সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার বাজারে এ আগাম জাতের তরমুজ আসছে।
আব্দুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে যেসব আগাম জাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে উল্লেযোগ্য হলো- বালি, ব্লাক সুইট, কালো গ্রামীণ, ব্লাক লায়ন,বিগ ফেমেলি ও রোয়েল ফেমেলি, আনারকলি, ব্লাকবেবি, চায়না-২, এশিয়ান-২, ঠাকুরগাঁও জেলার খুচরা তরমুজ বিক্রেতা কবির জানান, আগাম জাতের এসব তরমুজ কোনটাই ঠাকুরগাঁও জেলায় হয়নি। এগুলো কুয়াটাকা সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে আনা হয়েছে। বাজারে এগুলোর চাহিদা অনেক। প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।
ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ তরমুজ বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, প্রতি কেজি তরমুজ প্রথম দিকে ৭০-৮০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। দাম এখন একটু বেশি হলেও সিজনের তরমুজ বাজারে আসলে কমে যাবে।
সামিউল নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রথম তরমুজ উঠেছে যা দেখে ভালো লেগেছে। ভালো-মন্দ কি হবে জানি না। তবু কিনলাম। যদিও দাম একটু বেশি। তবে আমরা আশা করছি রমজান মাসের পূর্বেই এর দাম শিথিল হয়ে আসবে।