রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ :
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষের সমাপনী উপলক্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
উৎসবের সমাপনী দিন ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকায় অ্যাকাডেমিক ভবন ১-এর মিলনায়তনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের প্রযোজনা ও পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নৃত্যনাট্য ‘চন্ডালিকা’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন একটি রাষ্ট্রের যার চারিত্র্য-ভিত্তি হবে অসাম্প্রদায়িকতা। এই রাষ্ট্রে কোনো মানুষই ধর্মপরিচয়ে উঁচু-নিচু বিবেচিত হবেন না। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চন্ডালিকা’ নাটকে সেই সত্যের উদ্ভাসন ঘটিয়েছেন। এ সূত্রে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষের সমাপনীতে এই নাট্য মঞ্চায়ন খুবই প্রাসঙ্গিক।’ ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পক্ষকালব্যাপী আয়োজনকে সফল করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দসহ যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবে একাধিক একক বক্তৃতা, আন্তঃস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক, বইমেলা, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, গ্রন্থ-সমালোচনা প্রতিযোগিতা, বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনার দাবিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়। ২৬ মার্চ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়। একইদিন অপরাহ্ণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস বক্তৃতা করেন একুশে পদকে ভূষিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা।