তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সুনামগন্জের তাহিরপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অস্বাভাবিক ভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার বৃহত মাটিয়ান হাওরের আনন্দ নগর গ্রামের পাশে ৪৪ নং প্রকল্পের নির্মিত বাঁধটি ফাটলের সৃষ্টি হয়ে সরু পথে পানি প্রবেশ করছে
শনিবার রাত ১২ টায় মাটিয়ান হাওরের এ বাঁধটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থার খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বাঁধে ছুটে যান হাওরাঞ্চলের প্রিয় মুখ আগামী দিনের স্বপ্নসারথী তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো. আলা উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন, আবুল কাশেম,উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আজিজুল হক,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা এমদাদ নুর, ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান ইমন সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
বাঁধটি রক্ষায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজনৈতিক লোকজন সহ স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বাঁশ, কোদাল ও বাশের ছাঁটাই দিয়ে বাধঁটি রক্ষায় মরনপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক আবু সায়েম জানান, ৪৪ নং প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পিআইসি সভাপতি ফিজিল মিয়া ও সেক্রেটারি কয়েছ মিয়া বাঁধ নির্মাণ কাজ নিয়ে গাফেলতি করেছেন। বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম হওয়ার কারনেই আমরা এখন ফসল নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছি। পি আই সিদের অবহেলায় কৃষকের ফসলের কোন ক্ষতি হলে তার দায়ভার পি আইসিদের নিতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, আনন্দ নগর গ্রামের পাশে বাঁধ দিয়ে সরু পথে পানি প্রবেশের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ আমি সরেজমিনে ছুটে আসি। আমরা গভীর রাতেই স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে বাঁধটি রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।বাকিটুকু মহান স্রষ্টার ইচ্ছে। বাধে কোন ধরনের গাফিলতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
তাহিরপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রায়হান কবির বলেন পাহাড়ি ঢলের কারনে নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় হাওরের কিছু বাধ হুমকির মুখে থাকলেও আমরা সর্বক্ষন বাধে আছি, আমার প্রশাসনের লোকজন বাধে আছেন,আমরা গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দনগর ৪৪ নম্বার বাধে কাজ করেছি, ইনশাআল্লাহ সকলের চেষ্টায় আমরা বাধটি রক্ষা করতে পেরেছি।আশা করছি আগামীদিনে পানির স্রূতধারাটা কমে আসলে আমাদের আর ক্ষতি হবেনা।