মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলায় গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শে পরিক্ষা না করায় রোগী ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) শহরের নিরাপদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাইনী চিকিৎসক স্মৃতি হকের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
তবে চিকিৎসকের দাবি মারধরের বিষয়টি চেম্বার থেকে চলে যাওয়ার পর ঘটেছে বলে কিছুই করার নেই। ঘটনার সময় ভুক্তভোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার নিয়মিত গাইনী চিকিৎসক স্মৃতি হকের কাছে পরামর্শ নিয়ে আসছেন।
৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারো পরামর্শ নিতে আসলে ঐ গাইনী চিকিৎসক তার মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম সহ পরিক্ষা নিরিক্ষা করাতে বলেন। এ সময় রোগী ও স্বজনরা অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় অনত্র পরিক্ষা করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে হাজির হন ঐ গাইনী চিকিৎসকের কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হন চিকিৎসক। তার মন মত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কেন পরিক্ষা করা হয়নি। সে কারনে রিপোর্ট না দেখে ফেলে দেন। পুনরায় রিপোর্ট করাতে বলেন, সেখানেই। এ সময় রোগী ও স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ড হলে চিকিৎসকের নিয়জিত আশিক ও রাসেল সহ বেশ কয়েকজন মিলে রোগী ও স্বজনদের মারধর করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে নিউজ ২৪ এর ক্যামরা ছিনতাই করে নিয়ে যান রাসেল। এমন অভিযোগ করেন সংশ্লিস্ট ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু। এবং সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকিও দেন রাসেল।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, জেলার গণাধ্যমকর্মীরা। নিউজ টুয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু অভিযোগ করে বলেন, আমি নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার আগে আমার সাথে থাকা রেদওয়ানুল হক সহ কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে রাসেল সহ বেশকয়েকজন তাদের লাঞ্চিত করে ক্যামরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। একজন রোগী তার ইচ্ছেমতো যে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরিক্ষা করানো দোষের কিছু নেই। ডাঃ স্মৃতি হক তার কথা মত নির্দিস্ট জায়গায় পরিক্ষা না করানোয় কমিশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেই তার লোকজনদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি ছিনতাই হওয়া ক্যামরা উদ্ধার এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। সেই সাথে চিকিৎসকের এমন হিন আচরন থেকে বেড়িয়ে সেবামুলক আচরণ করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রোগী ও স্বজনরা সদর থানায় অভিযোগ করতে যান। সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।