তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির তাণ্ডবে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার সময় আকস্মিক কাল বৈশাখী ঝড় আর শিলা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কৃষকের সোনালি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
উপজেলার সর্বত্রই শিলা বৃষ্টিতে আঘাত এনেছে। যাঁর ফলে অনেক কৃষক বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার সাথে সাতেই শংকিত মনে ছুটে গিয়েছেন নিজের রোপণ করা আধা পাঁকা ধান দেখতে।হাওরে গিযে ধান দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষকরা ।একদিকে পাহাড়ি ঢলের আতংক কখন বাধ ভেঙে সোনালী ফসল তলীয়ে যাবে অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শীলা বৃষ্টি এযেন কৃষকের মরার উপরে খারার ঘা।
হাওর পাড়ের কৃষক মহিবুর রহমান বলেন, রাতের ঝড় আর শিলা বৃষ্টি আমার কপাল পুড়ে দিয়েছে। ৪ কিয়ার জমি রোপণ করেছিলাম।নদীতে পানি বৃদ্ধি দেখে, আধা পাঁকা ধান কাটতে ইচ্ছা পোষণ করে ছিলাম । কিন্তুু কাল বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে তাও হল না। যে পরিমাণে ক্ষতি সাধন হয়েছে, শ্রমিকের মজুরি দিয়ে আমার কিছু থাকবে বলে মনে হয় না, ধান কেঠে আর কি হবে, এবার মহাজনের পাওনা কিভাবে দেব, আর নিজেই বাচ্চা কাচ্ছাদের নিয়ে কি ভাবে চলবো ভেবে পাচ্ছিনা।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জুনাব আলী বলেন গত রাতে কাল বৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হযেছে,আমি শনির হাওর ও মাঠিয়ান হাওর পাড়ের কৃষকের কান্না দেখেছি, তারা বলছেন একদিকে পহাড়ি ঢল অন্যদিকে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শীলা বৃষ্টি, কৃষক আজ বড়ই দুশ্চিন্তায়, তারা আজ দিশেহারা,আমাদের এই নিম্নাঞ্চলের মানুষ মহাজনের নিকট থেকে সুদে টাকা নিয়ে জমি রুপন করে,আবার বৈশাখ শেষে মহাজনের পাওনা পরিশোদ করে।কিন্তুু এবার তাদের কপালে দুশ্চিন্তার বাজ পড়েছে জমিতে ধান নেই রাক্ষসী শীলায় তাদের শেষ সম্বলটুকু নিযে গেছে গত রাতে, আমি শনির হাওর মাঠিয়ান হাওর ঘোরে দেখেছি চারায় কোন ধান নেই, শীলার আগাতে ধান জমির মাটিতে পড়ে আছে, আবার অনেক ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। আমি সরকার এবং স্তানীয় প্রশাসনের কাছে জুড় দাবি জনাই অনতিবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেদের তালিকা তৈরী করে তাদের কে বিশেষ প্রনোদনার ব্যাবস্তা করা হউক। যেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে দু বেলা দু মোটু ভাত খেয়ে বেছে থাকতে পারে।
এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির বলেন , কাল বৈশাখী ঝড় এবং অধিক শিলা বৃষ্টি হযেছে।, আমি নিজেও ফসল রক্ষার বাঁধে, টাংঙ্গুয়ার হাওর ওয়াচ টায়ার সংলগ্ন এলাকায় আছি । যাঁরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ,ক্ষতির পরিমাণ জেনে তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা করা হবে।