মোটরসাইকেলে চড়ে ছিনতাই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তা
শিহাবুর রহমান সাকিব, ঢাকাঃ
মোটরসাইকেলে চড়ে ছিনতাইচক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের মধ্যে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। ছিনতাই চক্রের এই সদস্যরা রিকশার যাত্রী বা ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর সময়ে আচমকা টান দিয়ে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত সটকে পড়ত।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এই চক্রটি ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, তেজগাঁও ও আগারগাঁও এলাকায় শতাধিক ছোট-বড় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে রবিবার রাজধানীর মগবাজার এবং মোহাম্মদপুরের পশ্চিম কাটাসুর এলাকা থেকে ডিএমপি ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল চক্রের এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল ইসলাম, লেলিন শেখ, জিল্লুর রহমান খান ও সাইফুল ইসলাম ওরফে শাওন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোটর সাইকেল, দুইটি হেলমেট, ছিনতাইকৃত ৩৪ লাখ টাকা, চার হাজার পিস ইয়াবা, দুইটি শার্ট, একটি প্যান্ট, দুই জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ বলেন, পুরো রমজানে দুই-একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ছাড়া অনকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু রমজানের আগে মিরপুর এলাকায় দুইটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। একটি ঘটনায় ১১ লাখ এবং অপর ঘটনায় চার লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এসব ঘটনায় পল্লবী থানায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়।
ডিএমপির এই গোয়েন্দা প্রধান বলেন, মামলা দুইটির ছায়া তদন্ত করে ডিবি গুলশানের ডিসি মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একাধিক টিম। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ ও মো. লেনিন শেখ এবং দ্বিতীয় ঘটনায় জিল্লুর রহমান খান ও সাইফুলকে মোটর সাইকেল আরোহী হিসেবে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত লেলিন শেখ ও শাওনের বিরুদ্ধে ডিএমপির শাহবাগ, মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলানগর, মোহাম্মদপুর ও পল্লবী থানায় একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকে তাই দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন দ্রুত না চালানোর পরামর্শ দেন ডিবির এ কর্মকর্তা।
ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের নিদের্শনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান সরদারের তত্ত্বাবধানে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস.এম রেজাউল হকের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।