মোঃ সাজ উদ্দিন সাজু, সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের জৈন্তাপুর টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যায় উপজেলার ৪ ইউপি প্লাবিত হয়েছে।
সারী ও বড় নয়াগং নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বিপদ সীমার দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
১৪মে রবিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে নিজপাট, জৈন্তাপুর, চারিকাটা ও দরবস্ত ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে৷ বন্যায় আটকে পড়া লোকজন গৃহপালিত পশু নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে৷ বন্যায় পরিস্থিতি ও বন্যায় আটকাপড়াদের খোঁজখবর নিতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন জনপ্রতিনিধিগণ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো হলো- মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, মোরগাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, নয়াবাড়ি, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ি, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ি, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মাস্তিংহাটি, হেলিরাই, মুক্তাপুর, মোয়াখাই, বিরাইমারা, গড়েরপাড়, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, শেওলারটুক, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর, বালিদাঁড়া, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ, বনপাড়া, গৌরী, লালা, ছাতারখাই, কাঞ্জর, সেনগ্রাম, নয়াখেল, হাটিরগ্রাম, বিড়াখাই ও গাতিগ্রাম।
উপজেলা সর্ববৃহৎ সারি নদী ও বড় নয়াগাং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সারি নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিন। তিনি আরও বলেন গত দুদিন হতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বৃষ্টি থামলে পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল ইসলাম, মোঃ ইন্তাজ আলী, মোঃ সুলতান করিম ও বাহারুল আলম বাহার বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলো সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর রাখছেন। ইতোমধ্যে সরকারি তরফ হতে বন্যা কবলিতদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে৷ সহায়তা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয় সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু এলাকার জনসাধারণকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে৷ জরুরী প্রয়োজন দেখা দিলে আরও আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, বন্যায় প্লাবিত এলাকা সমূহের খোঁজখরব রাখা হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে এলাকার সচেতন মহলের মাধ্যমে উপজেলা সর্তক অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের বন্যার পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণের জন্য সর্তক রাখা হয়েছে৷ তিনি ফ্লাস বন্যার কবল হতে নদীর তীরবর্তী বাসিন্ধাদের সর্তক থাকার পরামর্শ দেন। সেই সাথে সর্তকতার সহিত যেকোনো নৌযান ব্যবহারের পরামর্শ দেন৷