রাণীশংকৈলে বিশ্ব নবীকে কটুক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
সুজন আলী, রাণীশংকৈল প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ পালিত হয়েছে।
আজ ১৩ জুন সোমবার বিকেল ২ টায় রাণীশংকৈল হ্যালিপ্যাড মাঠে বাংলাদেশ সম্মিলিত উলামা
পরিষদ (রাণীশংকৈল,বালিয়াডাঙ্গি ও হরিপুর) শাখার সদস্য সহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ সমাবেশ অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গনজামায়েত হয়ে ভারতে বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ( সা:) ও উম্মাহাতুুল মু’মিনীন আয়েশ ( রা:) এর শানে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ যোগ দেয়।
সমাবেশে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জনিয়ে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা:) ও হযরত আয়েশা (রা:) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা মুসলমানদের হৃদয়ে যে আঘাত দিয়েছে তা কোনভাবেই নেমে নেয়া যায় না। যাদের বিন্দুমাত্র ইমান আছে তারা মেনে নিতেও পারবে না। আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে ভারতীয় ওই দুই নেতার এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা প্রস্তাব আনার জোর দাবী জানাই।ভারতীয় সকল প্রকার পন্য ও স্যাটালাইট টিভি চ্যানেল বর্জনের ঘোষনা দেন।
সমাবেশে অংশ নেয় উলামা পরিষদের সভাপতি ও বালিয়াডাঙ্গি জামিরিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, উলমা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ জামিরিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুজ্জামান, উলমা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন,সভাপতি মাওলানা আব্দুল মজিদ প্রমুখ
পরে হ্যালিপ্যাড মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে বন্দর চৌরাস্তা মোড়ে আবার সমাবেশ করে। মিছিলে তারা “নূপুর শর্মার দুই গালে,জুতা মারো তালে তালে”
” বদরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার” ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। চৌরাস্তা মোড়ে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা নূপুর শর্মা ও দিল্লির মিডিয়া প্রধাণ নবীন কুমার জিন্দালের বিচার ও শাস্তি চেয়ে ভারত সরকারকে চাপ দেবার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এই সাথে তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশ্বনবীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
পরে তারা নূপুর ও জিন্দালের কুশ পুত্তলিকা দাহ করেন।