সাইফুর রহমান শামীম,,কুড়িগ্রামঃনদ-নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে । ধরলা ও দুধকুমারের নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
এ অবস্থায় ধরলা ও দুধকুমারের অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্না অঞ্চলের অনেক ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও পানি বন্দী রয়েছে অনেকের ঘর-বাড়ি। এতে করে দুর্ভোগ রয়েছে দ্বিতীয় দফায় বন্যা কবলিত পরিবারগুলো।
এসব এলাকায় পরপর দু’দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিজেদের খাবারের পাশাপাশি পালিত গবাদিপশুর খাদ্য সংকটে করেছেন বন্যা দুর্গতরা। প্রথম দফা বন্যায় সরকারী-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পেলেও দ্বিতীয় দফা বন্যায় এখন পর্যন্ত কোন সহায়তা পাননি বলে অনেকে জানান ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজলার ভাগডাঙ্গা ইউনিয়নর কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি চরের আমেনা বেগম জানান, টানা প্রায় ১৫ দিন পর বন্যার পানি নেমে গেলেও ৩/৪ দিনের মাথায় আবারো ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এখনও পুরাপুরি পানি নেমে যায়নি। একবার সরকারী রিলিফ পেলেও দ্বিতীয় দফায় আর কোন কিছুই পাননি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের ঢল কমে যাওয়ায় এবং স্থানীয়ভাবে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি ক্রমাগতভাব হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।