মোঃ কবির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ডের পার্শ্ববর্তী মৎস খামারিরা দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশীয় মৎস জাতের বিভিন্ন জাতের ছোট আকৃতির পোনা বিক্রি করে আসছেন । শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ডের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে সড়কের সাথে মোট ৭ টি মৎস খামার , এই মৎস খামারে মোট ২৫ জন শ্রমিক কাজ করে এবং ৭ টি পরিবার এর সাথে জড়িত ।
ভোলা জেলার দেশীয় মৎস চাষ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন এই সব খামারিরা । এখানকার ৭ টি খামারের মাছের পোনা নিজস্ব বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাড়াও ভোলা সদর , দৌলতখাঁন , লালমোহন , চরফ্যাশন , মনপুরা উপজেলার মৎস চাষীরা খুচরা ও পাইকারি দামে খরিদ করে মৎস চাষ করেন এবং অনেক মানুষ নিজস্ব পুকুরে বিলে মাছ চাষ করেন। পরবর্তীতে ছয় মাস, এক বছর ও তার চেয়ে বেশি সময় ধরে মাছ একটু বড় সাইজের হলে হাটে বাজারে তা বিক্রি করে দেশীয় মাছের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় । সরকারি ব্যাংক লোন ও সরকারি প্রণোদনা বঞ্চিত এখানকার ৭ টি মৎস খামারের মালিকরা ।
যশোর জেলা থেকে সড়ক ও নৌপথে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে দেশীয় জাতের রুই, কাতল, মৃগেল, মিরর কার্প, ব্লাক কার্প , মনোসেক্স তেলাপিয়া বিভিন্ন জাতের ছোট পোনা আমদানি করে থাকেন অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ভাবে খামারের মালিকরা । পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকারি ও খুচরা দামে মৎস চাষীদের কাছে বিক্রি করে থাকেন ।
অনেকে যুবক বেকার সমস্যা দুর করতে সরকারের যুব উন্নয়ন অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পুকুরে, পরিত্যক্ত জমিতে দেশীয় মৎস জাতের পোনা খরিদ করে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং হচ্ছেন অনেকে ।
ফারুক মৎস খামারের মালিক মোঃ ফারুক বলেন আমি প্র্যায় ১৬ বছর এই ব্যবসার সাথে জড়িত , অনেক সময় যশোর থেকে ছোট পোনা মাছ আমদানি করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে , আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে , এযাবৎ সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা ও ব্যাংক লোন পাইনি ।একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন যুব উন্নয়ন মৎস খামারের মালিক মোঃ ফিরোজ ।
ভোলা জেলা মৎস কর্মকর্তা মোল্যা এমদাদ উল্লাহ বলেন , যেহেতু বিষয়টি আমার নজরে এসেছে আমি খামারিদের সরকারি প্রশিক্ষণ দেয়া সহ সরকারি প্রণোদনা ও ব্যাংক লোন পাওয়ার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবো