স্বপন কুমার রায়, খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে নিবেদিত। এটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নির্মাণ করেছে। এতে ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগ রয়েছে।
প্রকল্পটির খরচ দেড় বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফর করবেন। সফরের সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, উগ্রপন্থিরা রোহিঙ্গাদের চরমপন্থায় নামতে বাধ্য করছে।
এটা বাংলাদেশসহ ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। বিশেষ করে বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে তারা হাঙ্গামা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া এই সফরকালে মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা পর্যন্ত ‘স্বাধীনতা সড়ক’-এরও উদ্বোধন হতে পারে। এই সফরের আগেই কলকাতা-চট্টগ্রাম-মোংলা পর্যন্ত পণ্যবাহী জাহাজের পরীক্ষামূলক চলাচল ৫ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে।
১৬ টন লোহার পাইপ নিয়ে প্রথম জাহাজ পরশু নদী দিয়ে মেঘালয়ের উদ্দেশে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে। একই সময়ে তামাবিল ও ডাউকি শুল্ক বন্দর দিয়ে পণ্য পৌঁছাবে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর জন্য যেমন পণ্য পাঠানো সহজ হবে তেমনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজগুলো রপ্তানি ও আমদানির জন্য ব্যবহার করা হবে।.