গগনবিহারী পাখির কথা কাব্য পাতায় লিখতে হবে
যে সারাক্ষণ বন্দী খাঁচায়, ছুটে বেড়াবার পথ খোঁজে,
যার কান্নার জলোচ্ছ্বাস গগন কাঁপিয়ে গর্জন তোলে
সাগরের তলদেশ থেকে উত্তাল তরঙ্গ উঠে আসে।
যে পাখি মুগ্ধতায় বৃষ্টি ছুঁতে চায় সৈকতে দাঁড়িয়ে
মন বাড়িয়ে সৌন্দর্য ছুঁতে চায় আবেগে বিহব্বল হয়ে,
বাদলা হাওয়ায় উড়ে যেতে চায় দুরন্ত চঞ্চল পা’য়ে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে চায় তপ্ত মাটির বুক ছাপিয়ে।
যে পাখির আকাশ, কালো আঁধারি মেঘে ঢাকা
যার হৃদয়ে নূপুর পড়া দস্যি মেয়ের ছবি আঁকা,
ঝমঝম বৃষ্টির জলের সাথে, মিশে যায় সুখের ধারা
যাতনাময় নিষ্পাপ পাখি, সুখ পেতে দেয় না সাড়া।
যে পাখি কেঁদে কেঁদে বন্দী খাঁচার বাতায়ন খোলে
ফুলকলিদের ভিজতে দেখে সুখ অনুভবে দুঃখ ভোলে,
ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ বৃষ্টি বিলাসী অনুভব তোলে
বিজলি চমকানো আলোর বিচ্ছুরণে হৃদয় মেলে
তার কথা লিখে লিখে কাব্য পাতা চাই ভরে তুলতে।
লেখকঃ রুপা বৈরী
খুলনা।