আমি জলন্ত আগুন চলন্ত ফাগুন
তাই দূরে থেকে চেয়েও চাওনি,,,,
আমি শান্ত পটভূমির মতন সহে সহে
অবহেলার দারুণ কানন ফুলে সাজিয়ে দিয়েও
তোমার এতটুকু আত্মার ইচ্ছে জাগেনি
দেখোনি আমার চোখে চোখ রেখে
রাখোনি কখনো তোমার ঐ নীল গগনের বুকে।
আমি কাঁটার গোলাপের নিকুঞ্জ হতে চাইনি
হতে চেয়েছিলাম বেলি ফুলের সুগন্ধী বাগান
যে গন্ধে তোমাকে করবে আকুল আকুতির নিবাস।
আমি তো নগন্য সাধারণ মেয়ে সাধারণ জীবন যাত্রা মানও গতিপথ,,
তোমার সাথে চলতে চেয়েছি সমস্ত সুখের রথ।
তবুও মূর্খ বলে ধিক্কার করেছে
হৃদয় গহিনের আত্ম মৌমিতায়
অনিরাপদ হিসেবে সারাক্ষণ সারাবেলায়।
প্রতিবাদ করতে সাহস করেনি তোমার মনে
আমার তো কোন কিছুর চাহিদার মৌমিতা ছিল না।
তুমি ছিলে সবার মাঝে ছড়িয়ে ঐ সূর্য কিরণ
আমি তোমার অনিরাপদ আশ্রয়ে থাকি সারাক্ষণ।
অন্ধরাতের জোছনার সাথে গাছের ফাঁকে কথায় হারিয়ে যেতাম,
অপেক্ষা আর অপেক্ষায় বিমোহিত দর্শক একবেলা চাওয়া পাওয়ার দারুণ সুখে চেয়ে চেয়ে থাকতাম।
সন্ধ্যায় সবুজ ঘাসের বুকে লিপটে থাকতাম
আমার এলোমেলো চুল গুলো তরুলতা আচরে দিতো
বলতো ওগো বেলি ফুল তোমার এতো সুগন্ধ তবুও
অনিরাপদ হিসেবে সারাক্ষণ অবহেলিত নিকুঞ্জ তোমার
এমন কেউ নেই?
তোমার সুগন্ধি অনুভব করবে!!
নিরবতায় আতংকিত মন আকুতি নিয়ে সারাক্ষণ হাসির হাসিমুখ।
আমি শুধু তোমার পাশে একটু মর্যাদায় লালিত সত্তাকে
আলতো ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে চেয়েছি
তার বিনিময়ে কি দিলে বলতে পার?
শুধু ধিক্কারে প্রাণহীন দেহটা খুবলে খেয়েছে চিকন লতা ঝাঁঝরা পাতা সবুজ গারো রংও ধূসর হয়ে গেছে।
প্রেম এসেছিল এক নিরাবতায় নিবিড়ভাবে বিলুপ্ত করে
তোমার বাহুতে লিপটে পড়তে চেয়েছিলাম
তার বিনিময়ে কি দিলে বলতে পার?
দিলে সবার কাছে যোগ্যহীন পরিচয় অরক্ষিত আশ্রয়
আমি দিয়েছি অবহেলিত এক দারুণ সুখের বেলি ফুলের নিকুঞ্জ
আমি শুধু ব্যবহার হিসেবে সারাক্ষণ।
স্বপ্ন ছিল এই অনাদর বেলি ফুলের সুগন্ধী এক দারুণ হিরার চেয়ে ও দামী কম হবেনা।
আজ আমার দেহ আত্মার থরথর কাঁপনির শব্দ বুঝিয়ে দিয়েছে অট্টহাসি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
বিলুপ্ত হয়ে গেছে বাঁচার অনুপ্রেরণা,
ধুর আর ভাল্লাগে না।
শেষ ঠিকানা অবশিষ্ট,,,,
যেমন তাকিয়ে থাকতাম আকাশ পানে জোছনার দিকে গাছের ফাঁকে গভীর রাতে,
কখন যেন হারিয়ে গেছে জোছনার রাত উঠেছে নতুন সূর্য কিরণ ভরিয়ে দিয়েছে সেই প্রভাতে।
হঠাৎ দেখি অদৃশ্য আত্মা প্রশ্ন করে
ওগো বেলি ফুল তোমার নেই কোন কূল
তুমি তো মুগ্ধতার মোহজালে আটকানো বংশের কুল।
ধূর!
আমি একজন সাধারণ মেয়ে সাধারণ জীবন যাত্রা মানও গতিপথ,
আমার চলতে মানা যে পথে আছে রথ।
আমি হাসির উত্তাল ঢেউয়ের তালে
ভাসি ঐ নীল সাগরে
লুকিয়ে রাখি আত্মার চাহনি
নীল সাগরে নিমজ্জিত মুক্ত মালার সাথে বলি কথা
হারিয়ে ফেলি নিজের হাসিতে যত ব্যাথা।
এখন আমার হারিয়ে যাওয়ার পালা,
নেই তো কোন মানা।
হারিয়ে যাবো তাঁরার মাঝে
আর হয়তো কেউ ছুঁতে পারবেনা
খুঁজবে আমায় আশেপাশে
চাইবে নতুন করে বাঁচতে
সে নিজেই তা করেছে শেষ।
অচীন পুরে চলে যাবো অবশেষ।
,,