তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃবিনা শুল্কে সীমান্তের ওপার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা প্রায় ২হাজার ৬শত কেজি ভারতীয় কয়লা বৈধ কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায়,টাঙ্গুয়ার হাওরের দায়িত্বে থাকা রামসিংহপুর ক্যাম্পের আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে।
বুধবার ১০,আগস্ট রামসিংহপুর ক্যাম্পের এপিসি আবু নাসির সাইফুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর রামসিংহপুর ক্যাম্পের আনসার সদস্যদের তথ্যমতে জানাজায়,আনসার সদস্যরা প্রতিদিনের ন্যায় নিয়মিত টাঙ্গুয়ার হাওরে টহল কার্যক্রম পরিচালনার সময়।বুধবার ভোররাতে বস্তা বোঝাই একটি নৌকা হাওর দিয়ে যাচ্ছে।,এমন সময় তারা নৌকার কাছে গিয়ে দেখে নৌকা টিতে বস্তাবন্দি করা কয়লা রয়েছে।তখন তাদের সন্দেহ হলে তারা কয়লা পরিবহণকারীদের কাছে কাগজপত্র আছে কি-না জানতে চাইলে,পরিবহণকারীরা কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায়,কয়লা বোঝাই কাঠবডি নৌকাসহ পরিবহণকারীদের তাদের হেফাজতে রামসিংহপুর আনসার ক্যাম্পে এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির কে অবগত করেন।
বিভিন্ন তথ্যসুত্রে জানাযায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া ও চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশন এলাকাকে ব্যবহার করে একদল চোরাকারবারি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত হতে চোরাচালানের মাধ্যমে বিনা শুল্কে কয়লার চালান ওপার হতে এপারে নিয়ে এসে,ভূয়া চালানপত্র ও মিনিপাসের মাধ্যমে। মধ্যনগর,নেত্রকোনার কলমাকান্দাসহ দেশের বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করে আসছে।
এ ব্যাপারে কয়লা পরিবহনকারী নৌকারমাঝি আব্দুল হাসিম বলেন আমি কয়েকদিন ধরে এসব কয়লা পরিবহন করে নিয়ে যাচ্ছি,কয়লাগুলো অবৈধ হলেও সবাইকে বলে বৈধ করেই নেওয়া হচ্ছে।এই কয়লার মালিক কে বা কারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে উনি খুব দাপটের সাথে বলেন আবুল হোসেন খান এর ছেলে নয়ন খান ও জামালসহ কয়েকজন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গুয়ার হাওর দায়িত্বে থাকা রামসিংহপুর ক্যাম্পের আনসার এপিসি আবু নাসির সাইফুল্লাহ বলেন আমরা প্রতিদিনের ন্যায় হাওরে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করি,ভোররাতে হঠাৎ আমরা দেখতে পাই,হাওর দিয়ে বস্তা বোঝাই করে একটি নৌকা যাচ্ছে। তখন নৌকার কাছে গিয়ে দেখি নৌকায় বস্তাবন্দি কয়লা।তখন বিষয়টি আমাদের কাছে সন্দেহ মনে হলে আমরা তাদের কাজে কয়লা চালানের কাগজপত্র আছে কি-না জানতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র নেই জানালে,আমরা কয়লার নৌকার মাঝি সহ কয়লা বোঝাই নৌকাটি আমাদের হেফাজতে এনে ইউএনও স্যার কে অবগত করি।উনি আর ও বলেন কয়লার নৌকা আটক করায়,আবুল হোসেন খান এর ছেলে নয়ন খান, আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন তোরে কয়লা ধরার পারমিশন কে দিয়েছে,তারাতাড়ি কয়লার নৌকাটা ছেড়ে দে,নইলে চরাইয়া সবকটি দাঁত ফেলে দিব।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা অফিসার ইন-চার্জ ওসি মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদার এর কাছে জানতে চাইলে উনি বলেন,এ বিষয়ে আমাদের কাস্টমস জানালে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব আপনারা কাস্টমস কে ফোন দেন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির এর কাছে জানতে চাইলে উনি বলেন আমাকে রামসিংহপুর ক্যাম্পের আনসার এপিসি জানিয়েছে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।