মোঃ কবির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ভোলার মেঘনা নদীর জেলেরা হতাশ।নদীতে ইলিশের আকাল,দাদনদার , মহাজনদের , বিভিন্ন এনজিওর ঋনের চাপ,এর উপর নতুন করে যুক্ত হয়েছে মেঘনার উত্তাল ঢেউ ও বিপদ সীমা অতিক্রম করে জোয়ারের পানি । সব মিলিয়ে যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা এর মতো। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ভোলার দৌলতখাঁন উপজেলার চকিঘাট বাজার পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড , চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ , জেলে , মৎস্য ব্যবসায়ী , বাজারের ব্যবসায়ীদের জীবন ধারার মান । এটি দৌলতখাঁন উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ও চরপাতা ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত । এখানে পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৩০০ জন এবং চরপাতা ৯ নং ওয়ার্ডে ৩০০০ হাজার লোকের বসবাস ।
দৌলতখাঁনের সবচেয়ে পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাজার হিসেবে এটি বেশ পরিচিত । চকিঘাট মৎস ঘাটে ৩২ টি মাছের গদি আছে এসব গদিতে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেনাবেচা করা হয় , এবং ৮ জন মহাজন আছেন যাহারা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বড় বড় শহরে ইলিশ সহ মেঘনার ও সাগরের নানান প্রজাতির মাছ স্থানীয় জেলে আড়তদার কাছ থেকে ক্রয় করে রপ্তানি করে ।
এই বাজার ও মৎস্য ঘাট আজ হুমকির মুখে মেঘনার উত্তাল ঢেউ ও জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাজারের দোকানপাট , মৎস্য ঘাটের আড়তদারদের গদি , মুসলমানদের পবিত্র উপাসনালয় আল্লাহর ঘর মসজিদ । যেখানে থেকে স্থানীয় মানুষের নদী ও সামুদ্রিক মাছের চাহিদা যোগান দিয়ে সরকারের রাজস্বখাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা পালন করে । জড়িয়ে আছে অনেক জেলেদের রুটি রুজির জোগান ।
দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণে ৫২২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ দুই উপজেলার ২ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে দৌলতখানে ১ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার এবং বোরহানউদ্দিনে ১ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে।
এখানে সিসি ব্লক থাকছে ৫০-৫০-৫০ সাইজ এবং ৪০-৪০-৪০ সাইজের। এছাড়া জিও ব্যাগ রয়েছে বালু ভর্তি ২৫০ কেজি ও ১৭৫ কেজি ওজনের। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৌলতখান উপজেলার চরপাতার চৌকিঘাট ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন বাজারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী ও দৌলতখাঁন উপজেলা আওয়ামিলীগের কোষাধ্যাক্ষ আঃ হাই মিয়া বলেন , আজ তিনদিন মেঘনার উত্তাল ঢেউ ও জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতের কারণে বাজারের দোকানপাট ভাঙতে ভাঙতে ভিতরের দিকে প্রবেশ করতেছে এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল ভোলার পানি সম্পদ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সবসময় মনিটরিং করছেন যাতে দৌলতখান উপজেলার তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে ভিতরে কোন পানি প্রবেশ করতে না পারে , স্থানীয় এমপি এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ আছেন ।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার বলেন , ইতিমধ্যে আমরা দৌলতখাঁন উপজেলার চকিঘাট বাজার , ভবানীপুর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি , এবং বেড়িবাঁধ ভেঙে ভিতরে যেন কোন পানি প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি ।