মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃবগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত চারজন যাত্রী। তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধো দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বেলা পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে সিএনজি চালকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আব্দুল বাছেদ (৩৫)। তিনি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের শাহার উদ্দিনের ছেলে। নিহত অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রংপুর থেকে ঢাকা গামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৮৭৫৩) মহাসড়কের হামছায়াপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটো রিক্সার মধো মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজির চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথেই অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) সিএনজির এক যাত্রী মারা যান। আর অন্যান্য আহতদের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজি চালক আব্দুল বাছেদ মারা যান।
জানতে চাইলে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও তার সহকারি পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিহতদের লাশ বগুড়ায় হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে লাশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।