স্টাফ রিপোর্টারঃভোলার মনপুরায় উপজেলার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধড়া পড়লো ৩ কেজি ওজনের রাজা ইলিশ। পরে ওই রাজা ইলিশটি বিক্রির জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজলের গদি ঘরে (মাছের আড়তে) নিয়ে আসে জেলেরা। এই সময় মেঘনায় ইলিশের আকাল চলছে এর মধ্যে এত বড় ইলিশ ধড়া পড়ায় এক নজর রাজা ইলিশটি দেখতে ভিড় জমে যায়।
২১ শে আগস্ট রোজ (শনিবার) আনুমানিক ভোর ৬ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় শফিক মাঝির ইলিশ জালে এই রাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। শফিক মাঝির বাড়ি বরিশালে হিজলা উপজেলার দুলখলা ইউনিয়নে আলিগঞ্জ গ্রামে।
পরে ওই রাজার ইলিশটি চরপিয়াল অলি চেয়ারম্যানের গদি ঘর (মাছের আড়ত) থেকে দামাদামি করে চার হাজার দুইশত টাকায় ক্রয় করেন ইলিশ ব্যাপারি মিজান শেখ। পরে ঢাকার লঞ্চযোগে যাত্রাবাড়ি মৎস্য আড়তে রাজা ইলিশটি বিক্রি জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
শফিক মাঝি জানান, শনিবার ভোর রাতে চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় পাতা ইলিশ জাল ওঠানোর পর ১২০ টি ইলিশ পান। ওই সময় ধৃত ইলিশের মধ্যে একটি বড় সাইজের ইলিশ দেখতে পান। পরে ওই ইলিশ মাছটি আড়তে এনে ওজন দিয়ে দেখেন ৩ কেজি ৫০ গ্রাম। পরে রাজা ইলিশটি চার হাজার দুইশত টাকায় বিক্রি করেন। এছাড়াও ধৃত অপর ইলিশের ওজন ৫শত গ্রাম থেকে এক কেজি বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় তার গদি ঘরের দাদন দেওয়া শফিক মাঝির জালে ৩ কেজির একটু বেশি ওজনের একটি রাজা ইলিশ ধরা পড়ে। পরে ওই রাজা ইলিশটি চরপিয়াল মাছের আড়ত থেকে চার হাজার দুইশত টাকায় ক্রয় করেন ইলিশ ব্যাপারি মিজান শেখ।
মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন জানান, এত বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাওয়া ভাল লক্ষণ। সামনে মেঘনায় আকাল থাকবে না, জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।