আছমা আক্তার আখি,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃবাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়।
এই পঞ্চগড় জেলায় মোট পাঁচটি গড় রয়েছে।
১, ভিতরগড়, ২,মীরগড়, ৩,রাজনগর, ৪,হোসেন,
৫, দেবনগর ।
এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলায় ১ নং অমরখানা ইউনিয়নের সোনারবান মৌজার প্রায় পাড় সহ ৫৩.৭৯ একর জমিতে মহারাজা দীঘিটি অবস্থিত।
পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে মহারাজার দিঘীটির অবস্থান।
প্রায় ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে এই পুকুরটি।
এই পুকুরের পানি অতি স্বচছ এবং পাড় সহ
এর মোট আয়তন
( ৮০০ ×৪০০) গজ ও পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় কয়েক শ’ বছরের পুরনো এই দীঘিটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির চোখে পড়ার মতো।
এটা ছিল জল্পেশ্বর রাজার রাজধানী।
কামরুপ বুরুন্জিতে রাজা জল্পেশ্বর কে পৃথু রাজা বলে নাম দেওয়া হয়েছিলো।মহারাজার দিঘী হতে প্রায় ১৩৫ মিটার দূরে উক্ত রাজার রাজবাড়ি ছিল বলে ধারণা করা হয়।
এবং কারো কারো মতে ধারনা করা হয়েছে এই দীঘিটি পৃথু রাজা খনন করেন।
কথিত আছে পৃথু রাজার পরিবার-পরিজন ও ধনরত্ন সহ নামক এক লোকজনের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়ে তাদের সংস্পর্শে সর্বনাশের ভয়ে উক্ত দীঘিতে আত্নহরন করেন।
প্রতিবছর বাংলা শুভ নববর্ষ মহারাজা দিঘির পারে মেলা বসে। মেলাটিতে মাঝে মাঝে ভারতীয় লোকের উপস্থিতি ও লক্ষ্য করা যায় ।
এই বিশাল দীঘিটির চারপাশে রয়েছে নানান প্রজাতির বড় ছোট গাছপালা।
দিঘির পারে গেলে উপভোগ করা যায় পাখির কলতান গাছগাছালির সবুজের সমারোহ ও শান্ত পরিবেশ।
এই মনোরম দৃশ্য দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়তই ছুটে আসছে শত শত মানুষ।
পঞ্চগড়ের ভিতরগড় এলাকার মহারাজার দিঘীটি দিন দিন পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
৩ জুন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে জেলা প্রশাসক পঞ্চগড় জনাব বনমালী ভৌমিক।
ও মানোনিয় এমপি পঞ্চগড়-১ জনাব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান এর উপস্থিতিতে মহারাজা দীঘিটির উন্নয়নমূলক কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। বর্তমানে মহারাজার দিঘীটির চরোপাশে বসার স্থান তৈরি করা হয়েছে।