মোঃ মজিবর রহমান শেখঃঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় রুহিয়া থানায় আ’লীগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রুহিয়া থানা আ’লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে নওশাদ আলী (৪৫) ও ইসমাইল হোসেন (৫২) কে আটক করে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার দিন রুহিয়া থানা মহিলা লীগের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি সেখানে ব্যাপকভাবে আলাপ আলোচনায় আসে। এ কারনে বিএনপি, জামায়াত বাহিনী মহিলা আ’লীগের সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যে তাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পিস্তল সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি র বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা থানা আ’লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেনের অটোরাইস মিলেও হামলা চালিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধণ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটকাতে গেলে জনসাধারণকেও বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সন্ত্রাসীরা, বেশ কয়েকজন আহতও হন। মামলার আসামীরা হলেন—- আনসারুল হক (৫৫), মাসুদ পারভেজ (৪০), শহিদুল হক (৫৩), নুরুজ্জামান (৪০), মাঈন উদ্দিন (৪৫), রুহুল আমিন (৪৫), নুর জামান বিপ্লব (৪৭), মো: মিলন (৩৫), জয়নুল হক (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪৫), জাহেরুল ইসলাম (৪০), আহসানুল হক (৪৬), মো: আব্বাস আলী (৪৫), আনছারুল হক (৫৫), মো: ফরহাদ হোসেন (২৬), মো: নওশাদ আলী (৪৫), মো: তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), মো: ইয়াসিন আলী (৪২), মো: আমান (২৪) মো: সুজন (২৪)সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। একই সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকেও তেল, জ্বালানী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় সংঘর্ষে সাংবাদিক সহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ৪ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।