নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গতকাল সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে নগরীর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ তৈরি করেছি বলেই এর সুফল আমাদের ব্যবসায়ী ভাইয়েরা পাচ্ছেন। আমাদের শ্রমিক এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কিংবা মালিকদের সঙ্গে একটা ব্রিজ তৈরি করার জন্য অমরা সেটা গঠন করেছিলাম। আমরা এক্ষেত্রে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, আমারা অনেক পুলিশ ইউনিট গঠন করেছি যেমন- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দেশের জনগণ বিশেষায়িত এ সকল পুলিশ ইউনিটের সুফল পাচ্ছেন।
জনগণের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা আগে যে পুলিশ দেখেছিলেন, তার সঙ্গে বর্তমান পুলিশের অনেক পার্থক্য। এখনকার পুলিশ যেমন জীবন উৎসর্গ করে, আবার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ক্রাইমও ডিটেকশন করে। তারা লোড নিতে পারছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারা দেশে যে শান্তি বইছে তার পেছনে কাজ করছে বাংলাদেশের পুলিশ। তিনি আরও বলেন, পুলিশ শুধু সিকিউরিটির জন্যই নয়, মানবিক কাজও করছে। আপনারা করোনার সময় দেখেছেন, মায়ের লাশ ছেলে হাসপাতাল থেকে আনতে যায়নি। পুলিশ সেই লাশ দাফন করেছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, কিন্তু অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাজীপুরকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। কারণ এদেশের অর্থনীতির ফুসফুস হচ্ছে গাজীপুর।
আইজিপি বলেন, গাজীপুরে হাজার হাজার ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। এসব ইন্ডাস্ট্রিতে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। আমরা প্রতিবছর যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস প্রোডাক্ট রপ্তানি করছি তার অধিকাংশই এ অঞ্চল থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে। তাই গাজীপুরকে দেশের অর্থনীতির ফুসফুস বলা ভুল হবে না।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথিরা বেলুন ও পায়ারা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জিএমপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনের পাশাপাশি একটি তথ্যবহুল ও নান্দনিক স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জিএমপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্ণিল আয়োজন।