রাম বসাক,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগামী একমাত্র সড়কের ১২৬০ মিটার দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী বিশেষ করে গর্ভবতী, জরুরি অপারেশন ও দূর্ঘটনা কবলিত রোগী জরুরি ভিত্তিতে আনা-নেয়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর যখন তখন ঘটছে ছোটবড় নানাধরনের দূর্ঘটনা।
সড়কটির পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং সড়কের তুলনায় দু’পাশের বসত বাড়িগুলো অধিক উচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে দেখা মিলছে জলবদ্ধতার।
এতে সড়কটি দিয়ে যানবাহনের পাশাপাশি পায়ে হেটে চলাচল করাও দিন দিন বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহজাদপুর দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগামী এলজিইডির সড়কটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছানোর রাস্তারটি খানা খন্দের কারনে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হলেও সংস্কার করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিনিয়তই অসংখ্য রুগী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া, রাউতারা, চৌচির,
বাইমারা, আঙ্গারু গ্রামের কয়েক হাজার লোক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পৌর শহরে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মূমুর্ষূ রোগীদের আনা-নেয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পরছেন রোগীর স্বজনরা।
এই ভোগান্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শারমিন আলম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবা নিতে আসা রোগীসহ অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহীত করেছি এবং তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের আশুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, রাস্তাটি ১০ ফিট থেকে ১৪ ফিট প্রশস্তকরণসহ সংস্কারের জন্য ৮৬৪ মিটার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। আশাকরছি আগামী তিনমাসের মধ্যে সড়কটি সংষ্কার কাজ শুরু হবে। এবং বাদবাকি সড়কটি সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শুধু আশ্বাস নয়, এই রাস্তাটি বর্তমানে জনসাধারনের উপকারের চেয়ে দূর্ভোগ বাড়িয়েছে বহুগুণ। অবিলম্বে জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা