লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ফাহিমা আক্তার বৃষ্টি হত্যার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার পর ৩ থানার পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। গত সোমবার রাতে বৃষ্টির পিতা শায়েস্তাগঞ্জ রেল কলোনীর বাসিন্দা আনোয়ার আলী বাদি হয়ে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করেন নেত্রকোনা জেলার মদন থানার গোবিন্দ শ্রী গ্রামের আলী মাহমুদের পুত্র বৃষ্টির স্বামী রায়হান আজিজ, আল আমিন, রাজন খান, করিম খান, শাকিল খান। এ ছাড়া অজ্ঞাত প্রাইভেটকারের চালকসহ ২/৩ জন। খবর নিয়ে জানা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএআই জসিম গতকাল সকালে বৃষ্টির বাবা আনোয়ার আলী ও তার বোন শান্তাকে নিয়ে কাপাসিয়া যান এবং মামলা দাখিল করেন।
আনোয়ার আলী মামলায় উল্লেখ করেন তার কিশোরী কন্যাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লম্পট বহু নামীয় রায়হান আজিজ বিয়ে করে বিয়ের পর তাকে দিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতো সে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মানবপাচার মামলা করেন এরপরই তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আজিজ ও তার বাহিনী। এক পর্যায়ে তাকে কৌশলে মামলাটি তুলে আনতে বাধ্য করে আনোয়ার আলীকে। তিনি বাধ্য হয়ে মামলা আপোষ করেন। এরপর তার কন্যাকে সে ঢাকা গাজীপুর কাপাসিয়া, টঙ্গী, আশুগঞ্জ, ভৈরব সহ বিভিন্ন এলাকায় রেখে সংসার করে ১৭ সেপ্টেম্বর আশুগঞ্জে তাকে হত্যা করে অচেতন হয়ে গেছে মর্মে তাদেরকে কাছে তুলে দেয়।
শায়েস্তাগঞ্জ নিয়ে আসার পর সে মারা যায় পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এরপর বৃষ্টির মামলা নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ, আশুগঞ্জ ও কাপাসিয়া থানার পুলিশ পড়ে বিপাকে। ঘটনার স্থান নির্নয় করতে গিয়ে মামলা করতে ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে যায়। অবশেষে পুলিশ সন্দেহ করে কাপাসিয়া থানা এলাকার কোনো বাসায় তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে লাশ পরিবারের জিম্মায় দিয়ে যায়। তবে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আনোয়ার আলীকে আটক করলেও তথ্য না পেয়ে ছেড়ে দেয়। এদিকে কাপাসিয়া থানার ওসি জানান আসামিকে ধরতে এবং কারা কারা জড়িত তাদের খুজে বের করতে অভিযান অব্যাহত আছে বৃষ্টির মৃত্যুতে শায়েস্তাগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।