রাম বসাক,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জঃ আজ ১লা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যেদিয়ে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনের সনাতন ধর্মাবিলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। এখন ঘরে ঘরে চলছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। এবছর শাহজাদপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের ৯৭ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে দেখা যায়, মৃৎশিল্পীদের শেষ মূহুর্তে নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমার রং এর কাজ। নিখুঁতভাবে মনের মাধুরি মিশিয়ে কারিগররা ফুটিয়ে তুলেছেন দেবী দুর্গাকে। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মী, স্বরসতী, গণেশ ও কার্তিক, অসুর, সিংহ, মহাদেবসহ ১২টি প্রতিমার কাজ। মন্দিরে মন্দিরে চলছে আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল ও তোরণ নির্মাণ ও পূজা উৎসবের প্রস্তুতি। শিল্পীদের নিপুন হাতে ফুঁটে উঠছে প্রতিমার নজরকারা সৌন্দর্য। পুরাণ অনুযায়ী দুর্গা শব্দের অর্থ অপ্রতিরোধ্য। এ বছর মহাষষ্ঠীতে এই মহামায়া দশভূজা দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে গজে (হাতিতে) করে এবং পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌকায় চড়ে কৈলাশে স্বামীর ঘরে ফিরবেন। আগামী ৫ অক্টোবর বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এ ধর্মীয় উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
এদিকে, শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিমল কুন্ডু জানান- চলতি বছর করোনা মহামারীর বিধি নিষেধ না থাকায় প্রতিটি মন্দিরে জাকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবছর শাহজাদপুর পৌরসভায় ৩০টিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৯৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষে চলতি বছর শুধুমাত্র মন্দির ভিত্তিক আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই লক্ষে সড়ক-মহাসড়কে কোন আলোকসজ্জা করা হচ্ছে না।
অপরদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম মৃধা জানান- পূজা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে প্রতিটি মন্দিরে ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সার্বক্ষণিক আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পূজা চলাকালীন প্রতিটি মন্ডপ সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরকুল ইসলাম জানান- উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে ও দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পূজা চলাকালীন পুলিশের পাশাপাশি একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্বপালন করবেন। তিনি বলেন পূজা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।