মোঃসোলায়মান হোসাইন সোহান,কাশিমপুর থানা প্রতিনিধিঃ গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে । প্রায় ২৩ বছর পর আগামী মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) কাশিমপুর ফুটবল খেলার মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
সম্মেলনে কে হচ্ছেন সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক-এ নিয়ে নেতাকর্মীদের হিসাব নিকাশ চলছে। সম্মেলন কে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত বেশ আছে উৎকন্ঠাও।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,
দুই সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মীর আসাদুজ্জামান তুলার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে যখন নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত, ঠিক তখনই আসাদুজ্জামান তুলার ছন্দপতন। প্রভাবশালী সভাপতি পদপ্রার্থী তুলা তার সভাপতি প্রার্থী থেকে সরে এসে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করার ঘোষনা দিয়েছেন।
হঠাৎ তার সরে আসায় আনোয়ার হোসেনের সভাপতি পদ প্রায় নিশ্চিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে গেল সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা এখন শংকিত, ভোটাররা উদ্বিগ্ন। নির্বাচনের দুই দিন আগে হঠাৎ তার সরে আসায় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও ভোটাররা দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গেছেন। ৪নং ওয়ার্ডের এক ভোটার বলেন, তিনি কি রাজনৈতিক ভাবে দূর্বল হয়ে ওই পদ থেকে সরে এসেছেন নাকি সমঝোতার অপচেষ্টা? সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, তুলা ভাইয়ের হঠাৎ এভাবে সরে আসায় আমরা এখন শংকিত, কারণ এর পিছনের রহস্য কোন রহস্য থাকতে পারে, অথবা উপরমহলেকে ম্যানেজ করে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
ভোট বন্ধ করে সিলেকশন আমরা মেনে নিব না।আমরা ভোট প্রদান নেতা নিবারণ করতে চাই। এদিকে মীর আসাদুজ্জামান তুলা বলেন, আমি আগে থেকে কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম এখন আমি আছি।
সিলেকশনই যদি হয় তাহলে এভাবে ভোটার লিস্টের প্রয়োজন কি ছিল, আর এত টাকা খরচ করে আয়োজনের প্রয়োজন কি। ১৯৪ জন ভোটার মধ্যে অধিকাংশ ভোটার ও প্রার্থীদের দাবী সিলেকশন নয়, ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হোক। সিলেকশনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হলে কর্মীদের মূল্যায়ন তার কাছে থাকে না।
আমরা চাই ইলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচন হোক। এ সম্মেলনের ভোটার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ফকির বলেন, ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলে জনগনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। সিলেকশনের মাধ্যমে যদি নেতা নির্বাচন করা হয় তাহলে দলে বিভক্তি দেখা দিতে পারে, যার প্রভাব পড়বে সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে।
চায়ের দোকান, ক্লাব,অফিস পাড়া, দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে সবার মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা।সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে। সব মিলিয়ে এক উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে এ থানায়। সম্মেলনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নেতাকর্মীদের মধ্যে কৌতুহল উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।সহ বিভিন্ন পদপ্রত্যাশীরা প্রচারাণা চালাচ্ছেন।
সিলেকশনের মাধ্যমে যদি নেতা নির্বাচন করা হয় তাহলে দলে বিভক্তির দেখা দিতে পারে, তার প্রভাব পড়বে সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে।
সাধারণ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ত্যাগী এবং জনসমর্থন আছে এমন নেতাদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ভোট প্রদানে নির্বাচিত করলে সংগঠন শক্তিশালী হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিটির প্রতি যেন বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয় সেই আশাবাদ সবার। সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক আশরাফুল আলম আসকর এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, এ সম্মেলনে আমি প্রার্থী হলেও আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সুযোগ রাখা হবে না বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমি শংকিত।
আমার এক প্রতিদ্বন্দী লেবাস ধারী দরবেশ, যুবলীগ নেতা আতিক হত্যা মামলার আসামী একনায়কতন্ত্র কায়েমের লক্ষে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা চেষ্টা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ তুলেন।