মোঃ সাহিদুল ইসলাম,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে দুই সন্তানের জননী এক নারী।
বৃহস্পতিবার (৬ই অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টায় ডোমার থানায় ভুক্তভোগী মোছা. সুমনা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০ (সংশোধিত-৩) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-০৩।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ডোমার উপজেলার পশ্চিম চিকনমাটি আরডিআরএস মোড় এলাকার রাজীব হোসেনের স্ত্রী সুমনা আক্তার তার স্বামীর নামে এক বছর পূর্বে একটি মামলা করেন। সেসময় ডোমার থানায় কর্মরত ছিলেন শ্রী মহাবীর ব্যানার্জী নামে এক পুলিশ সদস্য। সেই মামলার তদন্তের মাধ্যমে সুমনার সাথে পরিচয় হয় তার। সেসময় বিভিন্ন ছলে মোবাইল ফোনে কথা বলতো মহাবীর এবং বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। এরপর সে ডোমার থানা থেকে অন্যত্র বদলী হয়।
মামলায় আরও জানা যায়, গত ২৮শে আগস্ট রাত ১১টার দিকে সুমনার বাড়িতে আসে মহাবীর। সেসময় সুমনার স্বামী বাড়িতে না থাকায় ও সন্তানেরা ঘুমন্ত থাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে মহাবীর। এরপর গতকাল (৫ই অক্টোবর) রাত ৯টায় পুনরায় এসে ধর্ষণ করে। এসময় বাড়ির প্রধান দরজায় এসে ইসমাইল হোসেন ও জুয়েল ইসলাম নামে দুই আত্মীয় ডাকাডাকি করলে দরজা খুলে দেন সুমনা। তখনই শয়নকক্ষের বেলকনি থেকে আসামী মহাবীর ব্যানার্জীকে আটক করে তারা। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে থানায় নেওয়া হয়।
মামলাটির আসামী শ্রী মহাবীর ব্যানার্জী (৪২) দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কেউটপাড়া এলাকার শ্রী কালী মোহন ব্যানার্জীর পুত্র। সে গত এক বছর পূর্বে ডোমার থানায় কর্মরত ছিল।
এবিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, আমাদের কাছে ভুক্তভোগী সুমনা আক্তার এজাহার দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামী মহাবীরকে জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।