পেকুয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আবদুল জলিল মেম্বারকে হত্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে টইটংয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী স্কুল মাঠ স্টেশনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচীতে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। বটতলী স্কুল মাঠে ওই মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিতে টইটংয়ের ১ নং ওয়ার্ডের বিপুল জনগন জড়ো হন। দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী জনগন মিথ্যা মামলা থেকে জনপ্রিয় ইউপি সদস্য আবদুল জলিলকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। এ সময় টইটংয়ের সীমান্তবর্তী ১ নং ওয়ার্ড থেকে শত শত নারী-পুরুষ বটতলী স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে। অপরাহ্নে প্রতিবাদী জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সামিল হন।
এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেয়া ১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, আমরা জলিল মেম্বারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাস্তায় এসে কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছি। জলিল মেম্বারকে আমরা ভোট দিয়ে মেম্বার নির্বাচিত করেছি। তিনি একজন ভাল মানুষ। নাছির হত্যাকান্ডের সাথে আমাদের মেম্বার জড়িত নেই। তার বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে অনেক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এটি ন্যাক্কারজনক মামলা। এ ধরনের মামলায় একজন জনপ্রতিনিধিকে হয়রানি করা আমরা বেদনাদায়ক মনে করছি। গত কয়েক বছর আগে জলিল মেম্বারের পিতা উকিল আহমদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলায় নাছির উদ্দিন ১ নং আসামী। ওই মামলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নাছির উদ্দিনের পরিবার কুচক্রীমহলের ইন্ধনে জলিল মেম্বারকে আসামী করে। এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসী জলিল মেম্বারকে ফাঁসানো হত্যা মামলা থেকে দায়ীমুক্তির শ্লোগান দেন তারা।
প্রসঙ্গত, ৩০ অক্টোবর রাতে টইটংয়ের আলোচিত দা বাহিনীর প্রধান নাছির উদ্দিন তার চাচাত ভাইদের হাতে খুন হন। ১ নভেম্বর পেকুয়া থানায় ওই ঘটনায় হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়। নাছির উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগমের দায়ের করা হত্যা মামলায় ৮ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় টইটংয়ের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবদুল জলিলকেও আসামী করা হয়।