স্বপন কুমার রায়,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ পেটপুরে ভাত খাওয়ারও যেন জো নেই দেশের সাধারণ মানুষের। পাতে মিলছে না রুটিও। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানেই চাল আর আটার রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
এমন তথ্যই দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ কৃষি অর্থনীতিবিদদের। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের চোখ রাঙানিতে অসহায় সাধারণ মানুষ।
চলতি বছরে খাদ্যের দামে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। এমন তথ্য উঠে এসেছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদনে। বাজারগুলোতেও দেখা মিলছে একই চিত্র। চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে আটা আর ভূট্টার মূল্য। যার প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি ও ডেইরি পণ্যের দরে। ইউরিয়া ও বীজের দাম বাড়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে কৃষক।
দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে আর্ন্তজাতিক বাজারে অস্থিরতা। জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে। সেই সঙ্গে দেশের চলমান মূল্যস্ফীতি ও সিন্ডিকেটের আধিপত্য তা বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারদরের লাগাম টেনে ধরতে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ কৃষি অর্থনীতিবিদদের।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রথমত আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের বাজার মনিটরিং করতে হবে। সাধারণ মানুষের সংস্থান করতে হবে। তাদের আয় বাড়াতে হবে। যাতে খাদ্যে ওদের অভিগম্যতা বাড়ে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমনের সুষ্ঠু বাজারদর নির্ধারণের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমন ধানের একটা দর নির্ধারণ করা হয়েছে। যেটা উৎপাদন খরচের প্রায় সমান। এতে কৃষকদের যদি ১০ বা ২০ শতাংশ লাভ না দেয়া হয়, তাহলে তারা পরবর্তীতে উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর (ডব্লিউএফপি) জরিপ বলছে, দৈনিক খাবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ।.