মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরায় মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে অগ্রগতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর এইচআরডি নেটওয়ার্ক সদস্যরা।
গত তিন মাসে জেলায় ৯টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ৬১জনের। এর মধ্যে পুলিশ অপমৃত্যু সন্দেহে ১৯টি মরহেদ উদ্ধার করেছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা ১২জন, বজ্রপাতে ৪জন, বিদ্যুৎপৃষ্টে ৪ জন, পানিতে ডুবে মারা গেছে ১০জন শিশু। এছাড়া শ্বাস নালীতে খাদ্য আটকে ২ শিশু, ভুল চিকিৎসায় ও অবহেলায় দুই শিশু, ছাদ থেকে পড়ে ১ জন, সাপের কামড়ে ১, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অকেজো লিফটে আটকা পড়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নদী থেকে আরও দুটি মরহেদ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শহরের ম্যানগ্রোভ সভা ঘরে এমএসএফ সহযোগিতায় উত্তরণের আয়োজনে এমএসএফর জেলার সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিগ্যাল এইড অফিসার (সহকারী জজ) মনিরুল ইসলাম।
এড: মনিরউদ্দীনের পরিচালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, এমএসএফর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী টিপু সুলতান, সরকারি মহিলা কলেজে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সনাকের সভাপতি পবিত্র মোহন দাশ, এমএসএফ সাতক্ষীরা যুগ্ম আহবায়ক এড: শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডা: নজরুল ইসলাম, এড: নাজমুন নাহার ঝুমুর, এনজিও কর্মী মরিয়ম মান্নান, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোৎন্সা দত্ত, সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, এড: খায়রুল বদিউজ্জামান, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন, এড: দিলিপ কুমার দেব, এড: হাবিব প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, এড: আসাদুজ্জামান দিলু, এনজিও কর্মী শরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তরা বলেন, জনপ্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ না করে দুই তিন দিন পরে বিস্ফোরক দ্রব্য এবং মাদকসহ বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে সঠিক সেবা দেওয়া হচ্ছে না। আলোচিত নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার আসামীরা জামিন হচ্ছে। ঘুষ বানিজ্য, এতিমখানায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অহরহ।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। ভয়ের সংস্কৃতির কারণে মানুষ আতঙ্কে। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সচেতনতাই পারে মানবাধিকার লঙ্ঘন কমাতে হবে।