সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের শিশু মাইশার হাত অপারেশনের সময় মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা দাবি করে অপারেশনে নিয়োজিত ঢাকার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া থেকে শত শত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলকারীরা পৃথক পৃথক ভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর থানার সামনে অবস্থান নিয়ে মিরপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক আহসান হাবীবসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘ডাক্তার নামের কসাই আহসান হাবীবের ফাঁসি চাই, খুনি ডাক্তারের ফাঁসি চাই, শিশু মাইশা মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ নানা স্লোগানে শহর প্রদক্ষিণ করেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: আঙুলের অপারেশনে শিশুর মৃত্যু, গোসলের সময় দেখা গেলো পুরো পেটে সেলাই
মিছিল শেষে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন নিহত শিশু মাইশার স্বজনদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
মারুফা জাহান মাইশা (৫) কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়ার মোজাফফর আলী ও বেলি আক্তার দম্পতির মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে হাতের আঙুল অপারেশনের সময় শিশু মাইশার মৃত্যু হয়। সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন বাবা-মা। দাফনের আগে মাইশাকে গোসল করানো নারীরা দেখতে পান পেটজুড়ে সেলাই করা। এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়।
শিশুটির পরিবারের দাবি, হাতের অপারেশনের সময় মেয়ের পেট কেন কাটা হয়েছে তা জানেন না তারা। এটিকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী।
তবে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক আহসান হাবীব দাবি করেন, ‘তিনি অপারেশন করেননি। রূপনগরের আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শিশুটির মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা। হাতের কাটা অংশে স্কিন জোড়া দিতে পেটের নিচের অংশ থেকে স্কিন কেটে নিয়ে সেলাই করা হয়েছিল। এখানে অন্য কোনও কারণ নেই। অ্যানেস্থেসিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হতে পারে।