নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অদ্য বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ড্রিক শুক্রাবাদ পান্থপথ স্থানে নেদারল্যান্ড এম্বাসি বাংলাদেশ এর আয়োজনে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ সহিংসতা ও প্রতিরোধ এর জন্য এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় তো আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৌশিক দে এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডাইরেক্টর( magnito Digital), রাশেদ রানা আর্টিস্ট শারমিন ইসলাম MODERRATOR UNDPনমিয়া নেদারল্যান্ডস এ্যাম্বাসির ,ক্যালচারাল ডিপার্টমেন্ট হেড দৈনিক আলোচিত কন্ঠে স্টাফ রিপোর্টার বিপ্লব খান সহ আরো অনেকেই। বক্তারা বলেন নারীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অনেক
*সুযোগ ও অধিকারের বৈষম্যগুলোও বড়
*নারীর আয় এখনো পুরুষের তুলনায় কম
*নারীর সমতার চ্যালেঞ্জ সবখানেই
উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা, জীবিকা, সম্পদ, রাজনৈতিক ক্ষমতা, পরিবার ও সমাজে অবস্থান—এ ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের নারীরা এখনো পুরুষের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছেন। নারী-পুরুষের সমান সুযোগ, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখনো গোড়ার সমস্যা।
গত কয়েক দশকে নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে। সাফল্য আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক পরিস্থিতিতেও। পাশাপাশি কিন্তু বড় সমস্যা হয়ে আছে নারীর প্রতি সহিংসতা, যা কিনা অর্জনগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলছে। নারী অধিকার–কর্মী ও গবেষকেরা আরও বলছেন, বৈষম্য এবং বৈষম্যের মানসিকতা দূর করে নারীর অবস্থান শক্তিশালী করা না গেলে এ সহিংসতা প্রতিরোধ করা যাবে না।
উচ্চতর শিক্ষা ও দক্ষতা, মানসম্মত জীবিকার সুযোগ, আয় ও সম্পদ, রাজনৈতিক ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানো আগামী দিনগুলোতে তাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বিশেষ চ্যালেঞ্জ হবে পারিবারিক আইনের সংস্কার এবং সার্বিকভাবে সমাজে বিদ্যমান বৈষম্যের দৃষ্টিভঙ্গি দূর করার কার্যকর কৌশল ঠিক করা।
বাংলাদেশের অর্জনগুলো বিশ্বে স্বীকৃত। বিশ্বে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য বিষয়ে প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। বৈষম্যগুলো কমানোর ক্ষেত্রে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছিল শীর্ষে। সে বছর বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল ৪৮তম। ২০১৭ সালের তুলনায় এটা ছিল ২৮ ধাপ অগ্রগতি। প্রতিবেদনটি বলছে, এমনটা সম্ভব হয়েছে অর্থনৈতিক সুবিধা এবং অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার কারণে।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং জঁ দ্রজ তাঁদের ভারত: উন্নয়ন ও বঞ্চনা (২০১৫ সালে প্রকাশিত) বইয়ে লিখেছেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি অনেক বেশি। বাংলাদেশে ৫৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী। ভারতে এ হার ২৯ শতাংশ। তাঁরা দেখিয়েছেন, নারীর সাক্ষরতা ও শিক্ষাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। লিঙ্গ বৈষম্য নারী সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারলে বাংলাদেশের নারীরা আরো এগিয়ে যাবে