মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলাঃ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ভোলার জেলার সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ।
শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি বলেন, যে দেশ স্বাধীন না হলে আজ হয়তো এই বাংলাদেশ পেতাম না। আমরা বাঙ্গালী পরিচযে বিশ্বের কাছে মাথা উচুঁ করে দাড়াতে পারতাম না। সেই গৌরভময় ইতিহাসে অন্যতম দিন ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা পেয়েছি এই বাংলাদেশের স্বাধীন মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের এই মহান মাসে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জীবন উৎসর্গকারী সে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সর্বস্তরের জনগণকে যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের এই বিজয় অর্জণে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, এই দেশ আমার আপনার জন্মভূমি, সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
কোন অসম্প্রদায়ীক শক্তি যেন আমার দেশকে আবারো পূর্ব পাকিস্তান বানাতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকা জরুরী। আসুন আমরা শান্তি-সম্বৃদ্ধপূর্ণ বাংলাদশে গড়ার লক্ষ্যে লাল সবুজ পতাকা তুলে সমবেত হই।
দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সকলেই সহযোগী হই। সে সূর্যের কিরণে লেগে ছিল রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয়ের রঙ।সেই রক্তের রঙ সবুজ বাংলায় মিশে তৈরি করেছিল বাংলার লাল সবুজ পতাকা।যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ৭ ই মার্চ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই পরাজয় মেনে নিয়ে মাথা নত করে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র সমর্পন করেছিল বাঙালি জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ সেই সব শহীদদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্য বলেন,স্মরণ করেন সেই সব বীর সেনানীদের যারা শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
যেসব নর-নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ প্রাণের আত্নদানে পরাধীনতার লৌহকঠিন শৃংখল ভেঙ্গে লাল সবুজের পতাকা উড়েছে এই পলল ভুমিতে,পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা পেয়েছি এক অনবদ্য পরিচয়। স্বাধীনতার দীপ্ত শ্লোগানে মুখরিত সেই মহান বিজয়ের মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেই সকল অকুতোভয় বীর সেনানী আর সম্ভ্রমহারা মা, বোনদের,যাদের অদম্য সাহস আর আত্নত্যাগের সোপান বেয়ে বিজয় এসেছে।
শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি আরো বলেন, বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের শপথ নিতে হবে” ভিনদেশী রাজাকার এখনো রয়ে গেছে এ দেশে।
তাদের কিছু দোসর এ ভোলা তে ও রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
এই জেলাকে আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘাটি করে তুলতে হবে কোন অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না।