সুজন আলী,রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘিটি বর্তমানে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত। প্রতি বছর শীত এলেই এসব পাখি বিভিন্ন দেশ বিদেশ থেকে এখানে এসে প্রকৃতিকে সাজাই নতুন সাজে। শীতের পাখির আগমনে একমাত্র মধ্যবর্তী পুরোনো উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম এই রামরাই দিঘির নান্দনিক সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে। দিঘির জলে অতিথি পাখির কলকাকলিতে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এ যেন পাখির মেলা বসেছে।
রাণীশংকৈল পৌর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা রামরাই দিঘি। রামরাই দিঘির জলে গাংচিল, পানকৌড়ি, পাতিহাঁস সহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার পাখির আগমনে রামরাই দিঘির সৌন্দর্য পাখি প্রেমিক ও পর্যটকদের মন আকৃষ্ট করছে। এই শীতের অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর উরন্ত দৃশ্যধারণের চেষ্টায় মেতেছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। কেউ কেউ আবার নৌকায় চড়ে পাখিদের খুনসুটি ক্যামেরায় ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। রামরাই দিঘির জলকেলিতে অতিথি পাখির অবাদ বিচরণ এখন নজর কেড়েছে সবার।
দর্শনার্থী জানান, শুনেছিলাম রামরাই দিঘিতে অনেক পাখি আসে। তাই দেখতে এসে,এখানে মনটা জুরিয়ে গেল। পুকুরের পাড়ে চারদিকে সাড়ে ৮শ এর অধিক লিচুগাছ আরো নতুন নান্দনিক রূপে দেখতে চারিদিক পুকুরের উচু টিলা গুলোতে দেখতে বেশ মনোমুগ্ধকর মনোরম পরিবেশ আকৃষ্ট করছে পর্যটকদেরকে। পুকুরের নিচ থেকে পাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশের সঙ্গে যেন দিঘীর জলরাশি ও নান্দনিক সাজে মাটি পানি ও পরিবেশ মিশে একাকার।
প্রতিবছর শীত এলেই বহু দূর দুরান্ত থেকে বহু ভ্রমন পিপাসু মানুষ আসছেন এসব অতিথি পাখি। অনেক পাখি শিকারিরাও আসেন পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে আমরা সব সময় তাদের নিরুৎসাহিত করি। কারণ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আসে অতিথি হয়ে।
এসব অতিথি পাখি অভয় আশ্রম হিসেবে এই রামরাই এর জলরাশিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির জানান, অতিথি পাখির অভয়াশ্রম রামরাই দিঘি। কেউ যেন পাখি শিকার করতে না পারে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
৪২ একর জমিজুড়ে রামরাই দিঘিটি অবস্থিত। আর এখানে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি দর্শনার্থী আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বর্তমানে নতুন নান্দনিক রামরাই দিঘীটির নিত্য নতুন সৌন্দর্য বর্ধক ও নান্দনিক রুপে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন এর সার্বক্ষনিক সহায়তায় দিঘির উপর ভাসমান লেগ,সহ রেষ্ট হাউজ এবং সপ্লিলরুপে অর্পূব সৌন্দর্যে সাজিয়েছেন। এসব কারুকাজ দর্শনীয় নানা কর্মকান্ড দেখতে সর্বদা পর্যটক ও ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসচ্ছে।