মোঃ শরিফুল ইসলাম,লালপুর নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ভোজ্যতেলের দামের উদ্ধগতি, কৃষি প্রণদনা ও অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। আর এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে তেলের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমাহার। এসব ক্ষেতে ঝাঁকে ঝাঁকে মুখরিত মৌমাছির গুনগুন শব্দ।
উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম। তিনি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। বর্তমানে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ দেখে তিনি আশার আলো দেখছেন। আরেক সরিষা চাষী চংধুপইল ইউনিয়নের বাওড়া গ্রামের জামাল হোসেন। তিনি জানান, তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সরিষার দামও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে বাড়তি লাভের পাশাপাশি পরিবারে তেলের চাহিদা পুরণে সক্ষম হবেন কৃষকরা। তাই তিনি এবার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘাতে ৬/৭ মন সরিষার ফলন হতে পারে বলে তিনি আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি ২০২২-২০২৩ রবি মৌসুমে উপজেলায় ৪শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২শ ১০ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর বিপরীতে সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫শ ৪৮ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দেড়গুন। আর ৪০ শতাংশ হারে প্রায় ২শ ২০ মেট্রিকটন সরিষার তেল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকারের ৩ বছরের পরিকল্পনা রয়েছে। তার ধারাবাহিতায় আমরা কৃষকেদের তেল ফসল চাষে উদ্ভুদ করেছি। সরিষা চাষে প্রণদনা দিয়েছি। আর কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক পরামর্শে এবার লালপুর উপজেলার কৃষকরা সরিষা চাষ করে ভালো ফলন পাবেন আশা করছি।