হিরক খান,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীত শুরু হয় পরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে এ জনপদ। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় করছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে।
নতুন কাপড়ের দোকানে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের ভিড় থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তা কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই তাদের একমাত্র ভরসা পুরাতন কাপড়ের দোকান। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা দরের কাপড়ও এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমে উঠছে।
ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন অনেক বেশি। তবে বেশি ভীড় দেখা যায় ফুটপাতের পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র সাজিয়ে বসেছেন মেহেরপুরের এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় করছেন ফুটপাতের এসব দোকানে।
মেহেরপুরের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে এসব ফুটপাতের প্রতিটি দোকানেই এখন শীতবস্ত্র দেখা যাচ্ছে। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দরের মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে ওই দোকানগুলোতে।
পাশে মার্কেট থাকলেও দামে সস্তা হওয়ায় বিদেশি পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ক্রেতারা অনেক বেশি ভিড় করছেন। মেয়েদের, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট, হাফ সোয়েটার সবকিছু রয়েছে ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে।
এসব দোকানে ইতোপূর্বে কেবলমাত্র অসহায় ও গরিব মানুষের ভিড় দেখা যেত। তবে বর্তমানে ধনী-গরিব সবাই ছুটছে সস্তা দামে বিক্রি ওই দোকানগুলোতে।
পুরনো কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে আসা গাংনী পৌর এলাকার সাঈদ হোসেন বলেন, সব ধরনের কাপড় এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম অনেক বেশি। একই কথা জানিয়েছেন উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের শান্ত।
মেহেরপুর কোর্ট বাজারে পুরাতন গরম কাপড় বিক্রেতা জামান হোসেন জানায়, গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি কারণ প্রতিটি গাইটে গড়ে ৩ হাজার করে দাম বেড়েছে। যে জ্যাকেটের গাইট ৮ হাজার ছিলো সেটি আনতে হচ্ছে এখন ১১ হাজার টাকায়। অনুরূপ সোয়েটারের গাইট ৫ হাজার থেকে এখন ৮ হাজার, বেবী ৭ হাজার থেকে এখন ১০ হাজার, গেঞ্জি ৫ হাজার থেকে এখন ৭ হাজার টাকায় আমরা কিনেছি। কিনতে গিয়ে যদি দাম বেশি পড়ে তাহলে জিনিসের দাম বেড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
একই কথা জানিয়েছেন, গাংনী বাজারের পুরাতন গরম কাপড় বিক্রেতা আব্দুল বাকী, সেলিম, কালু, জান্নাতুল, বাবলু, শুকুর আলী, খোকন ও আমিরুল ইসলাম।